সভাপতি অনন্ত রায় (মহারাজ)।
বৃহত্তর কোচবিহারবাসীর স্বার্থে কেন্দ্রীয় সরকার শীঘ্রই কিছু করবে— বিজেপির এক ঝাঁক নেতার উপস্থিতিতে আলিপুরদুয়ার- ২ ব্লকের সাউদপাড়ার একটি সভা থেকে বৃহস্পতিবার এমনই দাবি করলেন ‘গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশন’-এর সভাপতি অনন্ত রায় (মহারাজ)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মহারাজের এই সভা ঘিরে বুধবার রাত থেকেই যথেষ্ট তৎপরতা ছিল এলাকার বিজেপি নেতাদের মধ্যে। বিজেপির একাংশের দাবি, মহারাজের এ দিনের সভায় তাদের দলের প্রায় ছয়শো কর্মী যোগ দিয়েছিলেন। সভার আগেই অনন্ত মহারাজ সাংগঠনিক বৈঠক করে আলিপুরদুয়ার-১, আলিপুরদুয়ার-২ ও কুমারগ্রামের পূর্ণাঙ্গ ব্লক কমিটি গঠন করেন। সে বৈঠকে অবশ্য বিজেপি নেতারা ছিলেন না। ওই বৈঠকের পরে, সভায় যোগ দেন মহারাজ। সেখানে তিনি বলেছেন, “কেন্দ্রীয় সরকার বৃহত্তর কোচবিহারবাসীকে লিখিত প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সরকার কিছু করতে চলেছে, এটা নিশ্চিত। আপনারাও সুনিশ্চিত হন।” জেলার তিনটি ব্লক কমিটিতে শিক্ষিত যুবক-যুবতীদেরই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
এ দিনের সভা থেকে শিক্ষায় ‘দুর্নীতির’ প্রসঙ্গও তোলেন মহারাজ। নাম না করে প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর দিকে ইঙ্গিতও করেন তিনি। বলেন, “এখন নেতার পিছনে ঘুরে চাকরি নিলে ফল কী হবে তা সবাই জানে। যদি কেউ যোগ্যতা ছাড়া, নেতার পিছু নিয়ে চাকরি নেন, তা হলে চাকরির বেতন-সহ যোগ্য প্রার্থীকে চাকরিও ফেরত দিতে হবে।”
রাজনৈতিক নেতাদের একাংশের বক্তব্য, মহারাজের সঙ্গে বিজেপির সম্পর্ক মোটের উপরে ভালই। চার-পাঁচ মাস আগে দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করে এসেছেন তিনি। তাঁর সভায় বিজেপি নেতাদের উপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মহারাজ বলেন, “আমার সভায় যে কোনও রাজনৈতিক দলের লোক আসতে পারেন। দিন দিন এ ভাবেই আমার সভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের লোক আসতে থাকবেন।” বিজেপির ৬ নম্বর মণ্ডল সভাপতি সজল বলেন, ‘‘আমরা মহারাজের সভায় গিয়েছিলাম। মন দিয়ে বক্তব্য শুনেছি।’’ তৃণমূলের জেলা চেয়ারম্যান মৃদুল গোস্বামী বলেন, ‘‘বিজেপির কোনও রাস্তা নেই, তাই মহারাজের শরণাপন্ন হওয়ার চেষ্টা করছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy