যুযুধান: জিতবে কে? ষাঁড়ের লড়াই মালদহের ফোয়ারা মোড়ে। নিজস্ব চিত্র
মঙ্গলবার রাত ১১টা। রাজপথের চৌরাস্তায় তখনই শুরু হল তুমুল লড়াই। থমকে গেল যানচলাচল। লড়াই থামাতে শেষে জ্বালানো হল মশাল। তাতেই রণেভঙ্গ দিল যুযুধান দু’পক্ষ।
মানুষ নয়, রাতের রাস্তায় দু’টি ষাঁড়ের যুদ্ধে কার্যত স্তব্ধ হল মালদহের ইংরেজবাজার শহরের প্রাণকেন্দ্র ফোয়ারা মোড়।
এলাকাবাসী জানান, ফোয়ারা মোড় চত্বরে রয়েছে চিত্তরঞ্জন পুরবাজার, অতুল মার্কেট, হকার মার্কেট। রাত পর্যন্ত সে সব বাজারে চলে কেনাবেচা। সন্ধ্যার পরে বিনোদনের জন্য সেখানে শহরের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ ভিড় জমান। রাত পর্যন্ত চলে আড্ডাও।
মঙ্গলবার রাতে সব কিছু চলছিল অন্য দিনের মতোই। ছন্দপতন ঘটল রাত ১১টা নাগাদ। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আচমকা দু’টি ষাঁড় লড়াই করতে করতে চলে আসে ফোয়ারা মোড়ে। ঘন্টাখানেক ধরে চলে লড়াই। তার জেরে রাজমহল রোড, নেতাজি রোড, অতুল মার্কেট রোড, বিএস রোডে যানচলাচল থমকে যায়। ট্রাফিক পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘রাত হয়ে যাওয়ায় যানজট তেমন হয়নি বটে, তবে দিনের ব্যস্ত সময়ে ষাঁড়ের এমন লড়াই হলে যানজটে জেরবার হতেন শহরবাসী।’’
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ছোটন মল্লিক, রমেন সরকার বলেন, ‘‘ষাঁড় দু’টিতে হঠাতে প্রথমে ওদের গায়ে জল ছেটানো হয়। তাতে লড়াই থামানো যায়নি। শেষ পর্যন্ত মশাল জ্বালাতে হয়। তার পরে পালায় দু’টি ষাঁড়।’’
এলাকাবাসীর একাংশের অভিযোগ, মাঝেমধ্যেই ষাঁড়ের লড়াই বাঁধে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে। জনবহুল রাস্তায় তাতে যাতায়াতে দুর্ভোগ হয়। ছড়ায় আতঙ্ক। শহরের বাসিন্দাদের কয়েক জনের বক্তব্য, রাস্তায় ভবঘুরে ষাঁড়, গরুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। কিন্তু তা নিয়ন্ত্রণে পুরসভা কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
পুর-কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, এ বিষয়ে চিন্তাভাবনা চলছে। পুরসভার বক্তব্য, রাস্তায় রাস্তায় ঘুরতে থাকা ষাঁড়, গরু ধরে খোয়াড়ে রাখার কথা। কিন্তু এখন পুরসভার নিজস্ব কোনও খোয়াড় নেই। তবে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে ভেবে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন পুরপ্রধান নীহাররঞ্জন ঘোষ। তিনি বলেন, ‘‘শহরের রাজপথে ষাঁড়, গরুর দৌরাত্ম্য রুখতে ব্যবস্থানেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy