গ্রামে বিএসএফ বাহিনী। —ফাইল চিত্র।
বাংলাদেশের দিকে থাকা ছ’টি গ্রামকে মূল ভারতীয় ভূখণ্ডে আনতে জলপাইগুড়ির সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া বসতে চলেছে জিরো পয়েন্টের আর কাছে। সীমান্তের ও পারে বাংলাদেশের দিকে ‘অরক্ষিত’ অবস্থায় ভারতের কোনও গ্রাম থাকবে না, সিদ্ধান্ত বিএসএফের। সেই সিদ্ধান্তকে কার্যকর করতে সোমবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত সীমান্তবর্তী বিভিন্ন এলাকায় যৌথ বৈঠক এবং পরিদর্শন চালাল জেলা প্রশাসন এবং বিএসএফ। বৈঠকের শেষে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, দু-এক দিনের মধ্যে কাঁটাতারের বেড়া বসানো শুরু হবে। নতুন করে বেড়া বসে গেলে জলপাইগুড়ির বাংলাদেশ সীমান্তে উন্মুক্ত এলাকা এবং বেড়ার ও পারে ভারতীয় গ্রাম— দুই সমস্যারই এক সঙ্গে সমাধান হয়ে যাবে। এ দিন এক বিএসএফের অফিসার বলেন, “যে ভাবেই হোক দ্রুত কাজ শেষ করার নির্দেশ আছে। জেলা প্রশাসনের পূর্ণ সহযোগিতা পাচ্ছি।”
সোমবার প্রথমে চাণক্য সীমান্ত চৌকিতে বিএসএফ-জেলা প্রশাসন যৌথ ভাবে গ্রামবাসীদের ডেকে বৈঠকে বসে। এই সীমান্তে সিংপাড়া এলাকার কিছুটা উন্মুক্ত অর্থাত কাঁটাতারের বেড়া নেই। এই এলাকা দিয়েই সম্প্রতি বাংলাদেশি দুষ্কৃতীরা ঢুকে বিএসএফের উপরে হামলা চালিয়েছিল। সেই সঙ্গে চাণক্য সীমান্ত চৌকি এলাকায় নগর বেরুবাড়ির ছ’টি গ্রাম কাঁটাতারের বেড়ার ও পারে বাংলাদেশী ভূখণ্ডের দিকে। এ দিন ওই গ্রামবাসীদের ডেকে বিএসএফ এবং প্রসাসন যৌথ ভাবে জানিয়েছে ছ’টি গ্রামকে ভারতের দিকে রেখে নতুন করে কাঁটাতারের বেড়া বসানো হবে অর্থতা বর্তমানে যেখানে বেড়া রয়েছে সেখান থেকে এগিয়ে জিরো পয়েন্টের আরও কাছে বেড়া নিয়ে যাওয়া হবে। সমীক্ষাও হয়েছে এ দিন। এলাকার তৃণমূল পঞ্চায়েত সামুয়েল হক বলেন, “ছ’টি গ্রামকে ভিতরে রেখে বেড়া দেওয়া হবে। তবে এ দিন অনেক পরিবার বৈঠকে ছিল না। তাঁদের বোঝানো হবে।”
এর পরে বিএঅসএফ এবং প্রশাসন যৌথ পরিদর্শন এবং বৈঠক করে মানিকগঞ্জ এলাকায়। এখানে প্রায় ১৮ কিলোমিটার এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া নেই। এ দিন গ্রামবাসীদের ডেকে বৈঠকে জানানো হয়েছে, উন্মুক্ত সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া বসবে এবং একটি নতুন সীমান্ত চৌকি হবে। বেড়া এবং চৌকি তৈরিতে যে জমি অধিগ্রহণ হবে তার জন্য বাজারদর থেকে তিন থেকে চার গুণ বেশি দাম দেওয়া হবে বলেও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। বৈঠকের শেষে সদর ব্লকের বিডিও মিহির কর্মকার বলেন, “সীমান্তে বেড়া দেওয়ার কাজ চলছে। প্রশাসন, বিএসএফ ছিল, গ্রামবাসীরা ছিলেন। মোটামোটি সকলেই রাজি। ছোটখাটো যে সমস্যা ছিল সেগুলি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা সন্তুষ্ট সকলকেই ঠিকঠাক বোঝানো হয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy