জয়শ্রী দাসকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নিজস্ব চিত্র।
রায়গঞ্জের দেবীনগরে গুলিচালনার ঘটনায় পুলিশি তদন্তে উঠে এলে চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরনো শত্রুতার জেরেই গুলি চালানো হয়েছে। এবং পরিকল্পনা করেই এই কাজ করা হয়েছে।
দেবীনগরের গুলি-কাণ্ডে অভিযুক্তের তালিকায় উঠে আসে তিন জনের নাম। রিপন রায়, পাপন রায় এবং তাঁদের দিদি জয়শ্রী দাস এই ঘটনায় জড়িত বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের। এর মধ্যে জয়শ্রীকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁকে রায়গঞ্জ আদালতেও পাঠানো হয়েছে। জয়শ্রীর দুই ভাই রিপন এবং পাপন বিএসএফ-এ কর্মরত। বিএসএফ কর্তাদের ফোন করে তাঁদের ব্যাপারে জানার চেষ্টা করেন তদন্তকারী অফিসাররা। সেখান থেকে পুলিশ জানতে পারে, রিপন কর্তব্যরত অবস্থায় থাকলেও ছুটিতেই রয়েছেন পাপন।
অভিযুক্ত পাপন সোমবার রাতে গুলি চালিয়েছেন বলে পুলিশি জেরায় স্বীকার করেছেন তাঁর দিদি জয়শ্রী। কিন্তু পাপন এখনও পলাতক। অভিযুক্ত পাপনের বাড়ি রায়গঞ্জের এক নম্বর ওয়ার্ডের কাশীবাটি এলাকায়। তার বাড়িতে সোমবার রাতেই গিয়েছিল পুলিশ। কিন্তু তা তালাবন্ধ ছিল। তবে তাঁর বাড়িতে সিসিটিভি ক্যামেরা দেখে আশা জেগেছিল পুলিশের। অফিসাররা ভেবেছিলেন এই সিসিটিভি ফুটেজ তদন্তে গতি আনবে। কিন্তু স্থানীয়দের সাক্ষী রেখে মঙ্গলবার সকালে পাপনের বাড়ির তালা ভেঙে ঢুকতেই পুলিশ দেখে পাপন সিসিটিভি ক্যামেরার যন্ত্রাংশ এবং হার্ডডিস্ক নিয়ে চম্পট দিয়েছে। পাপনের বাড়ি ইতিমধ্যেই সিল করে দিয়েছে পুলিশ। ধৃত জয়শ্রীকে মঙ্গলবার আদালতে তোলা হয়। তাঁকে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
দেবীনগর এলাকায় বাবা নিখিলকুমার মজুমদারকে দেখতে এসেছিলেন দেবী সান্যাল, রূপা অধিকারী এবং সুজয়কৃষ্ণ মজুমদার। সোমবার রাত ৯টা নাগাদ একটি বাইক আসে সেখানে এবং গুলি চালায়। গুলিবিদ্ধ হয়ে দেবীর মৃত্যু হয়েছে। রূপা এবং সুজয়কৃষ্ণ আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy