Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪

ভাঙা পাঁচিলে যাতায়াত অবাধই, নিরাপত্তা রক্ষীরা ‘নিধিরাম’

নিরাপত্তা কর্মীরা এক, দুই এবং তিন নম্বর গেট আগলে বসে রয়েছেন। কারা ঢুকছেন, বেরোচ্ছেন নজর রাখছেন। অপরিচিতদের নাম লিখে ঢুকতে বলা হচ্ছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০২:৩৬
Share: Save:

নিরাপত্তা কর্মীরা এক, দুই এবং তিন নম্বর গেট আগলে বসে রয়েছেন। কারা ঢুকছেন, বেরোচ্ছেন নজর রাখছেন। অপরিচিতদের নাম লিখে ঢুকতে বলা হচ্ছে। অথচ বাকি গেটে নিরাপত্তা রক্ষী না থাকায় এবং সীমানা পাঁচিলের বিভিন্ন জায়গা ভেঙে অবৈধ ভাবে যে সমস্ত পথ করা হয়েছে, তা দিয়ে যাতায়াত চলছেই এবং উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছেন বহিরাগতরা। রঙিয়ার দিকে সীমানা পাঁচিরের ভাঙা অংশ দিয়ে ঢুকছে বাইক, সেনা ট্রাক-সহ বিভিন্ন গাড়িও। এই পরিস্থিতি তিনটি গেটে নিরাপত্তা রক্ষী বসিয়ে নজরদারি করানো হাসির খোরাক হয়ে উঠেছে পড়ুয়া-শিক্ষক-কর্মী সকলের কাছেই। শুক্রবারের শ্লীলতাহানির ঘটনার পর কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
বস্তুত, নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোমনাথ ঘোষ নিজেও। তিনি বলেন, ‘‘পাঁচিলের ভাঙা অংশ মেরামত করে গেট বসাতে আমরা চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু আশপাশের গ্রামের লোকেরা যাতায়াত করেন বলে তাঁরা গেট তৈরি করতে দিতে চাননি। নিরাপত্তা নিয়ে আমরাও উদ্বিগ্ন। কী করা যায় তা নিয়ে ভাবনা চিন্তা চলছে।’’ বাসিন্দারা গেট করতে না দিলেও চেক পোস্টের ধাঁচে পরিকাঠামো গড়ে সেখানে প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা এবং নজরাদারির ব্যবস্থা করার কথা ভাবা হচ্ছে বলে উপাচার্য জানান। শুক্রবারের ঘটনার পর তিনি নিজেই ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিলেন।
কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মীরাও প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁদের একাংশের অভিযোগ, সীমানা পাঁচিল যে সমস্ত জায়গায় ভেঙেছে তা ঠিক না করেই তিনটি গেটে নজরদারি বসানো যুক্তিহীন। ক্যাম্পাসে এক থেকে পাঁচ, আড়াই এবং সাড়ে তিন নম্বর গেট চিহ্নিত করা রয়েছে। তারও সবগুলিতে নিরাপত্তা রক্ষী নেই। তা ছাড়াও সীমানা পাঁচিল ভেঙে আরও অন্তত ৪টি যাতায়াতের রাস্তা করে নিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। ছুটির পর নিরাপত্তা রক্ষীদের চোখের সামনেই ক্যাম্পাসে ঘুরে বেড়াচ্ছেন বহিরাগতরা। এক নিরাপত্তা কর্মীর কথায়, ‘‘কে বহিরাগত এখন সেটাই বোঝার উপায় নেই। জিজ্ঞাসা করলে উল্টে আমাদের ধমকি দিয়ে বলে তারা এখানকার ছাত্রছাত্রী। ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে পরিচয়ের সুবাদেও বহিরাগতদের একাংশ অবাধে যাতায়াত করছে। মোটরবাইক নিয়ে ঘুরছে। আমরা নিধিরামের মতো দাঁড়িয়ে দেখি। কিছু ঘটলে তখন উল্টে আমাদের দোষারোপ করা হয়।’’

অন্য বিষয়গুলি:

transportation
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy