প্রতীকী ছবি।
জলপাইগুড়ি ও ইসলামপুর: বোনাসের হার বাড়ল জলপাইগুড়ি ও উত্তর দিনাজপুরের ক্ষুদ্র, ছোট ও প্রজেক্ট চা বাগানগুলিতে। করোনা পরিস্থিতিতেও গতবছরের তুলনায় বোনাসের পরিমাণ বেড়েছে। শুক্রবার এই দুই জেলায় ছোট, ক্ষুদ্র ও প্রজেক্ট চা বাগানের বোনাস চুক্তি হয়েছে। বড় বাগানের ক্ষেত্রে রাজ্য় জুড়ে একই হারে বোনাস নির্ধারণ হয়। কিন্তু ছোট বাগানের ক্ষেত্রে চা শ্রমিকদের বোনাস ঠিক হয় ভিত্তিক চুক্তি অনুযায়ী।
জলপাইগুড়ি জেলার ছোট চা বাগানগুলির ক্ষেত্রে দু’রকম হারে বোনাস চুক্তি হয়েছে। ১-১৫ একর পর্যন্ত আয়তনের চা বাগানে ১৬ শতাংশ এবং ১৫-২৫ একর পর্যন্ত ক্ষুদ্র চা বাগানে ১৭.৬০ শতাংশ হারে এ বারের বোনাস চুক্তি হয়েছে। জলপাইগুড়ি জেলা ক্ষুদ্র চা চাষি সমিতির সম্পাদক বিজয়গোপাল চক্রবর্তীর কথায়, ‘‘শ্রমিক স্বার্থের কথা মাথায় রেখেই বোনাস হার বাড়ানো হয়েছে।” জেলায় ২২ হাজার ক্ষুদ্র চা বাগান রয়েছে, সব মিলিয়ে অন্তত ৩৫ হাজার শ্রমিক কাজ করেন। জলপাইগুড়ির বোনাস চুক্তিতে তৃণমূলের টিডিপিডব্লিউইউ-র স্বপন সরকার, হারাধন দাস, সিপিএম প্রভাবিত সিবিএমইউ-র বাদল গুহ এবং ভারতীয় মজদুর সঙ্ঘের জেলা সম্পাদক তরুণ রায় সই করেছেন।
প্রজেক্ট চা বাগান বলা হয় ২৫ একর বা তার থেকে বেশি আয়তনের বাগানগুলিকে। উত্তর দিনাজপুরের প্রজেক্ট চা বাগানগুলিতে গত বছর ১৮ শতাংশ হারে বোনাস চুক্তি হয়েছিল। এ বার জেলার বোনাস বৈঠক হয়েছে শিলিগুড়ির ব্যাঙডুবিতে। সেখানে ডান-বাম সব শ্রমিক সংগঠন এবং ৩১টি চা বাগান কর্তৃপক্ষ উপস্থিত ছিল। বৈঠকে স্থির হয়েছে, ১৯.৮০ শতাংশ হারে শ্রমিকদের বোনাস দেওয়া হবে। তবে দু’টি বাগানের ক্ষেত্রে ১৫ এবং ১৭ শতাংশ হারে বোনাস দেওয়া হবে। শ্রমিক সংগঠগুলির দাবি, এই দু’টি বাগান অপেক্ষাকৃত দুর্বল। তৃণমূল প্রভাবিত চা শ্রমিক সংগঠনের উত্তর দিনাজপুরের জেলা সম্পাদক দীপক রায় বলেন, “১২ অক্টোবরের মধ্যে সব চা শ্রমিক যাতে বোনাস হাতে পেয়ে যান তার দাবি জানিয়েছি।”
শ্রমিক সংগঠনগুলির দাবি, এখন চা পাতার দর বেশি সেই সঙ্গে করোনা পরিস্থিতিতেও শ্রমিকেরা কাজ বন্ধ করেননি, সেই কারণেই বোনাস বেশি হারে দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy