সীমান্ত দিয়ে গরু পাচার রুখতে এ বার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দ্বারস্থ হল জলপাইগুড়ি জেলা বিজেপি৷ দলের জেলা নেতাদের অভিযোগ, বিএসএফ ও পুলিশের একাংশের যোগসাজসে জলপাইগুড়ি জেলা ও মেখলিগঞ্জ দিয়ে এই গরু পাচার চলছে৷ এই অসাধু কারবারে জড়িত বলে অভিযোগ তুলে কয়েকজন বিএসএফ অফিসার ও কনস্টেবলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তাঁরা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে চিঠি পাঠিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন বিজেপির জেলা সভাপতি দীপেন প্রামাণিক৷ যদিও বিএসএফ ও পুলিশকর্তারা বিজেপি নেতাদের এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন৷
জলপাইগুড়িতে বিজেপির জেলা সভাপতি দীপেন প্রামাণিক অভিযোগ করেন, জলপাইগুড়ি জেলা ও মেখলিগঞ্জে সীমান্ত এলাকার কিছু গ্রাম থেকে সব চেয়ে বেশি গরু পাচার হচ্ছে৷ আরও অন্য জায়গা থেকেও জলপাইগুড়িকে ব্যবহার করে গরু পাচার চলছে বলে অভিযোগ তাঁর৷ তিনি বলেন, ‘‘বিএসএফ ও পুলিশের একাংশের মদতে এই কাজ কিছু পাচারকারী করে চলেছে৷ যেখানে কাঁটাতারের বেড়া নেই সেখান দিয়ে ছিনতাইকারী ঢুকে পড়ে গরু নিয়ে চলে যাচ্ছে৷’’
দীপেনবাবু বলেন, ‘‘বিএসএফের একাধিক ব্যাটালিয়ান ছাড়াও ১৬-১৭ জন আধিকারিক ও কর্মীকে আমরা চিহ্নিত করেছি৷’’
বিএসএফ বা পুলিশের কর্তারা অবশ্য অভিযোগ মানতে চাননি৷ জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি বলেন, যাঁরা এই অভিযোগ করছেন, ক্ষমতা থাকলে পাচারের উদ্দেশে জলপাইগুড়ির ওপর দিয়ে অবৈধ ভাবে গরু নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তার একটা ঘটনা দেখাক৷ বিএসএফের জলপাইগুড়ি সেক্টরের অধীনে কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ সীমান্ত পড়ে৷ ওই সেক্টরের ডিআইজি বি এস পাটিয়াল বলেন, ‘‘কীসের ভিত্তিতে এ ধরনের অভিযোগ করা হচ্ছে জানি না৷ এ টুকু বলতে পারি, বিএসএফের কেউ এ ধরনের ঘটনায় যুক্ত থাকলে আমাদের কাছে খবর থাকতো৷’’ জলপাইগুড়ি রাধাবাড়ি সেক্টরের বিএসএফের একটি সূত্রও বিজেপির এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে। বিজেপির তরফে এদিন জলপাইগুড়ি জেলার সীমান্ত এলাকার তেরোটি হাটে গরু বেচা-কেনা বন্ধেরও দাবি তোলা হয়৷
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy