দিন কয়েক আগে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে আন্দোলনে নামে যুব মোর্চা। তাতে গুটিকয়েক কর্মীকে উপস্থিত হতে দেখা যায়। অভিযোগ, ব্লক থেকে জেলা— সর্বত্রই বিজেপির আন্দোলনের লেখচিত্র নিম্নমুখী। কোথাও কোথাও আন্দোলনে কর্মীদের বাড়তি অক্সিজেন জোগাতে বিধায়কেরা থাকলেও তা যে কর্মীদের তুষ্ট করতে পারছে না তা আড়ালে মানছেন বিজেপি নেতাদের একাংশ। বিধানসভা এবং লোকসভা নির্বাচনে ভোটবাক্সে ব্যাপক সাফল্যের পরেও কেন সংগঠনের এমন পরিস্থিতি, তা নিয়ে দলের অন্দরে উঠছে প্রশ্ন। এ নিয়ে গেরুয়া শিবিরকে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। যদিও তৃণমূলকে পাল্টা দিয়েছে বিজেপি।
গত বিধানসভা নির্বাচনে আলিপুরদুয়ার জেলার পাঁচটি আসনেই জয়লাভ করে বিজেপি। যদিও ২০২৩ সালের আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক বিজেপি ছেড়ে ঘাসফুল শিবিরে নাম লেখান। তার পরে লোকসভা নির্বাচনে মার্জিন কমলেও আলিপুরদুয়ার আসনটি ধরে রাখতে সক্ষম হয় গেরুয়া শিবির। তার পর কয়েক মাস কেটে গেলেও জেলার পাঁচটি বিধানসভায় বিজেপিকে সে ভাবে মাঠে নেমে আন্দোলন করতে দেখা যায়নি বলে মত রাজনৈতিক মহলের একাংশের। মাঝে একাধিক ব্লক এবং শহরে দল এবং গণসংগঠনগুলি আন্দোলন কর্মসূচি নেয়। সেখানে একাধিক বিধায়ক উপস্থিত থাকলেও কর্মী সংখ্যা আগের মতো হচ্ছে না বলে আক্ষেপ দলীয় কর্মীদেরই একাংশের। এমন পরিস্থিতিতে বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলকে মজবুত করা নিয়ে নেতৃত্বদের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন কর্মীরা।
এ বিষয়ে জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক মিঠু দাস বলেন, ‘‘মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা থাকায় এবং আমাদের দলের সাংগঠনিক রদ বদলের জন্য আন্দোলন কর্মসূচি কিছুটা কম হয়েছে ঠিকই। এপ্রিল মাস থেকে আমাদের আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়বে।’’
এ নিয়ে রাজ্য তৃণমূলের সম্পাদক মৃদুল গোস্বামী বলেন, ‘‘আমরা অনেক দিন আগে থেকেই বলে আসছি, বিজেপির থেকে মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। মানুষ ওদের ভাঁওতার রাজনীতি ধরে ফেলেছে। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে মানুষ বিজেপিকে ভোট বাক্সে যোগ্য
জবাব দেবেন।’’
জবাবে মিঠু বলেন, ‘‘আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল ধুয়েমুছে যাবে। শুধু সময়ের অপেক্ষা।’’
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)