ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। —নিজস্ব চিত্র
বিজেপি কর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল কোচবিহারের তুফানগঞ্জে। বুধবার সকালে একটি স্কুলের ভিতর থেকে উদ্ধার হয় স্বপন দাস (৩৬)-এর মৃতদেহ। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপি নেতৃত্বের পাল্টা প্রশ্ন, বিজেপি নেতা-নেত্রীরা কি জ্যোতিষ?
বুধবার সকালে তুফানগঞ্জ-১ ব্লকের ফুলবাড়ী ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের সুভাষ পল্লি এলাকার বাসিন্দা বিজেপি কর্মী স্বপন নিখোঁজ ছিলেন বুধবার সকাল থেকে। পরিবারের লোকজন ও স্থানীয় বাসিন্দারা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। অবশেষে বাড়ির অদূরে ফুলবাড়ী গার্লস হাইস্কুলের বারান্দা থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেহ উদ্ধার হয় স্বপনের। এর পরেই মৃতদেহ ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বিজেপি কর্মী সমর্থকরা।
তুফানগঞ্জ থানার বিশাল পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য এম জে এন মেডিক্যাল কলেজে পাঠায়। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
মৃতের স্ত্রী চুমকি দাসের অভিযোগ, ‘‘মঙ্গলবার সকাল থেকে আমার স্বামী নিখোঁজ ছিলেন। আমরা অনেক খোঁজাখুঁজি করেও পাইনি। বুধবার স্কুলের বারান্দায় তার ঝুলন্ত মৃতদেহ মেলে। আমরা বিজেপি করতাম।’’
জেলা বিজেপির সভানেত্রী মালতি লাভা রায় বলেন, তৃণমূলের পায়ের তলার মাটি চলে গিয়েছে। তাই আমাদের নিরীহ বিজেপি কর্মীদের একে একে খুন করা হচ্ছে। কিছুদিন আগেই কালাচাঁদ কর্মকার খুন হয়েছেন। আজ স্বপন দাস। আমরা এর বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলব।’’
উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষের পাল্টা প্রশ্ন, ‘‘বিজেপি নেতা-নেত্রীরা কি জ্যোতিষ? কোথাও কোনও মৃত্যু হলেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছে? ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই। স্বপনের মৃত্যু থেকে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা করছে বিজেপি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy