—প্রতীকী চিত্র।
কেন্দ্রীয় প্রকল্পে টাকা আটকে রাখার অভিযোগ তুলে দিল্লিতে গিয়ে অবস্থানে বসেছিলেন তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলায়-জেলায় ধারাবাহিক কর্মসূচিও করেছিল তৃণমূল। এ বার পাল্টা, তৃণমূলের বিরুদ্ধেই অভিযোগ তুলে কেন্দ্রীয় প্রকল্পে বঞ্চিতদের নিয়ে কলকাতায় গিয়ে অবস্থানে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি।
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, কোচবিহার থেকে চার হাজার বাসিন্দাকে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। আগামী ২৯ নভেম্বর কলকাতায় বিজেপির ওই কর্মসূচি রয়েছে। তার আগে ট্রেনে বা বাসে ওই কর্মী কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হবে। যাতায়াতের পাশাপাশি, তাঁদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থাও দলের তরফ থেকে করা হবে। তৃণমূলের কোচবিহার জেলা চেয়ারম্যান গিরীন্দ্রনাথ বর্মণ বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা তো আটকে রেখেছে বিজেপি সরকার। তারাই রাজ্যের মানুষকে বঞ্চিত করেছে। এ সব করে মানুষকে বিভ্রান্ত করা যাবে না। বঞ্চিতদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হবে বিজেপি নেতৃত্বকে।’’বিজেপির কোচবিহার জেলার সাধারণ সম্পাদক বিরাজ বসু পাল্টা বলেন, ‘‘তৃণমূল দুর্নীতি করে গোটা রাজ্যকে ডুবিয়ে দিয়েছে। তাদের জন্যই আজ সাধারণ মানুষ কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন না। তৃণমূল সাধারণ মানুষকে কেন্দ্রীয় প্রকল্প থেকে বঞ্চিত করে রেখেছে।’’
একশো দিনের কাজ হোক বা আবাস যোজনা, দু’ক্ষেত্রেই কোচবিহার একটি গুরুত্বপূর্ণ জেলা। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, একশো দিনের কাজে কোচবিহার জেলা রাজ্যে এক নম্বর। আবাস যোজনাতেও কোচবিহার থেকে কয়েক লক্ষ মানুষের নাম জমা পড়েছে। প্রায় দু’বছর ধরে একশো দিনের কাজ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে রয়েছে। আবাস যোজনার টাকা এখনও কেউ পাননি।
বিজেপির দুই ধরনের অভিযোগ। এক, আবাস যোজনার যে তালিকা তৈরি করা হয়েছিল, সেখানে প্রচুর দরিদ্র মানুষের টাকা দেওয়া হয়নি। দুই, যাঁদের নাম ওই তালিকায় রয়েছে তাঁদের টাকা না পাওয়ার পিছনে তৃণমূলই দায়ী। দল মনে করছে, আগামী লোকসভা নির্বাচনে ওই ‘বঞ্চিতেরা’ বড় ‘ফ্যাক্টর’ হয়ে দাঁড়াবেন। ওই অংশকে নিজেদের দিকে টানতে তৃণমূল ইতিমধ্যেই গ্রামে-গ্রামে আন্দোলন ছড়িয়ে দিয়েছে। বিজেপিকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে ওই বাসিন্দাদের ভোট নিজেদের দিকে টানতে এখন থেকেই মরিয়া রাজ্যের শাসক দল। তা বুঝতে পেরেই ময়দানেনেমেছে বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে ‘বঞ্চিতেরা’ অবশ্য বলছেন, ‘‘সবাই আমাদের নিয়ে টানাটানি করে রাজনৈতিক ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা করছে। আমরা চাই, আমাদের প্রাপ্য বুঝিয়ে দেওয়া হোক।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy