প্রতীকী ছবি।
গোর্খাল্যান্ড নিয়ে পাহাড়ে বিরোধীদের প্রশ্নের মুখে পড়েছে বিজেপি। কেন বিজেপি গোর্খাল্যান্ড নিয়ে আরও বেশি উদ্যোগী হচ্ছে না, সেই প্রশ্ন তুলে প্রচার শুরু করেছে বিনয় তামাংপন্থী মোর্চা। তাই পাল্টা প্রচারের জন্য পাহাড়ে উন্নয়নের দায়িত্বে থাকা জিটিএ এবং রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতরের ব্যর্থতার কথা তুলে ধরতে চাইছে পদ্ম শিবির। সেই লক্ষ্যে এগোতেই বিভিন্ন দফতরের কাজের পরিসংখ্যান সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু করেছে বিজেপি ও তার সহযোগী দলগুলি। ওই তথ্য বইয়ের আকারে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিলি করা হবে বলেই বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে। কোথায় কী কাজের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল এবং কতটা কাজ হয়েছে— বইয়ে তথ্য ধরে বিশ্লেষণ করা হবে বলেও জানিয়েছেন বিমল গুরুংপন্থী মোর্চার এক নেতা।
পাহাড় বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, কৃষি, প্রাণীসম্পদ বিকাশ, তপসিলি জাতি, জনজাতিদের উন্নয়ন, গ্রামোন্নয়ন, সিঙ্কোনা প্ল্যানটেশন, খাদ্য সরবরাহ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও বিভিন্ন ঘোষিত প্রকল্পের বর্তমান পরিস্থিতি কী, সে বিষয়েই তথ্য সংগ্রহ করা শুরু হয়ে গিয়েছে।
বিমলপন্থী মোর্চার এক নেতা বলেন, ‘‘এখন পর্যন্ত যে সব তথ্য এসেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, প্রাণীসম্পদ বিকাশের মতো গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি দফতরে দীর্ঘদিন থেকেই কয়েক হাজার পদ ফাঁকা পড়ে আছে। কোনও নিয়োগ হচ্ছে না। ফলে পরিষেবা তলানিতে ঠেকেছে। জিটিএ ও রাজ্য সব জেনেও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। ফলে পাহাড়ের শিক্ষিত তরুণরা চাকরির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সবটাই বইয়ে তুলে ধরা হবে।’’
বিজেপির এক নেতা জানিয়েছেন, তরল নাইট্রোজেনের অভাবে পাহাড়ে প্রাণী চিকিৎসার যে দুরবস্থা, সে কথা তাঁরা বইয়ে লিখবেন। সিঙ্কোনা প্ল্যানটেশন নিয়ে তাঁদের বইয়ে আলাদা করে অধ্যায় তৈরি হবে। তাতে পাহাড়ের ওষধি গাছের চাষ, কমলালেবুর উৎপাদন কী ভাবে নষ্ট হচ্ছে, তা ব্যাখ্যা করা হবে।
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, সংস্কারের অভাবে দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ের ৫০টিরও বেশি রাস্তার যে বেহাল দশা, সে কথা তাঁরা মানুষকে জানাবেন। সেই সব রাস্তার তথ্য ইতিমধ্যেই জোগাড় করে ফেলেছেন দলের নেতারা। বিমলপন্থী মোর্চার মুখপাত্র বিপি বজগাই বলেন, ‘‘বিমল গুরুং জিটিএ-র চেয়ারম্যান থাকার সময় নেপালি অ্যাকাডেমির কাজ শুরু হয়েছিল। সেই কাজ এখনও শেষ করতে পারেননি বর্তমান জিটিএ কর্তারা। ওই ধরনের আরও বহু প্রকল্পের কাজ মাঝপথে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সাধারণ মানুষের সবটা জানা দরকার।’’
সূত্রের খবর, বিভিন্ন এলাকায় দীর্ঘদিন থেকে যে সব সমস্যা রয়েছে, স্থানীয় নেতৃত্বকে সেগুলি নথিভুক্ত করতে নির্দেশ দিয়েছেন বিজেপি ও তাদের সহযোগী দলগুলির শীর্ষ নেতৃত্ব। বিজেপির পাহাড় কমিটির সভাপতি মনোজ দেওয়ান বলেন, ‘‘জিটিএ, রাজ্য সরকার, পাহাড়ের সব কটি পুরসভায় ক্ষমতায় আছে তৃণমূল ও তাদের সহযোগী বিনয় তামাংদের মোর্চা। তা সত্ত্বেও পাহাড়ের উন্নয়ন যে হচ্ছে না, সে কথা আমরা সাধারণ মানুষের সামনে তুলে ধরব। ওদের মিথ্যা প্রচারের জবাব দেওয়া হবে।’’
বিনয় তামাং বলেন, ‘‘পাহাড়ের যা উন্নয়ন তার সব কিছুই করেছে রাজ্য সরকার ও জিটিএ। ওদের সাংসদ ভোট নিয়ে দিল্লিতে চলে গিয়েছেন বার বার। তাই বিজেপির মুখে ওই সব কথা মানায় না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy