মুখ্যমন্ত্রীকে টুইট করে নালিশ জানালেন বিজেপি সাংসদ।
এ বার ‘দিদিকে বলো’-র ধাঁচেই বেহাল রাস্তা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে টুইট করে নালিশ জানালেন বিজেপি সাংসদ। মঙ্গলবার বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে টুইট করে অভিযোগ করেন, ‘দিদি উন্নয়নের নজির দেখুন। আপনার সিমেন্টের কংক্রিট ঢালাই রাস্তা তৈরির জন্য অর্থ বরাদ্দ করে খরচও হয়েছে। এখনও পর্যন্ত রাস্তা তৈরি হয়নি। শুধুমাত্র তৈরি হয়েছে সিমেন্টের ফলক। রাস্তার বদলে কি মানুষ এই উন্নয়নের ফলকের উপর দিয়ে হেঁটে যাবেন?’ সাংসদের ওই অভিযোগকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে।
ওই রাস্তাটি দক্ষিণ দিনাজপুরের বংশীহারি ব্লকের গাঙ্গুরিয়া অঞ্চলের বাগদুয়ার এলাকার। সেখানকার বটতলা মোড় থেকে খাড়িপাড়ার টাঙন নদীরঘাট পর্যন্ত বেহাল কাঁচা রাস্তা কংক্রিট করতে ২০১৮-১৯ সালে অর্থ বরাদ্দ দেখিয়ে ফলকও বসানো হয়। খরচ দেখানো হয় ২১ লক্ষ ৯১৯ টাকা। অথচ কতটা পরিমাণ রাস্তা ঢালাই হবে, তা ফলকে লেখা হয়নি বলে অভিযোগ। সাংসদের অভিযোগ, রাস্তাটি আদৌ ঢালাই হয়নি। টুইটারে মুখ্যমন্ত্রীকে প্রতিবাদ জানানোর পাশাপাশি তিনি স্থানীয় ব্লক এবং জেলা প্রশাসনের কাছে বিষয়টি জানতে চাইবেন বলে সুকান্ত জানান। কেন্দ্রীয় সরকারের ১০০ দিনের প্রকল্পে বরাদ্দ ওই টাকা নয়ছয় হয়েছে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান ২০১৮-১৯ আর্থিক বছরে ১০০ দিনের প্রকল্পে ২১ লক্ষ ৯১৯ টাকা বরাদ্দ করে লোকসভা ভোটের আগেই রাস্তার কাজ শেষ করার কথা ছিল। কিন্ত রাস্তার কাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত গ্রামপঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ এখনও একটি ইটও ফেলেননি বলে অভিযোগ। সোমবার বংশীহারির ওই এলাকায় সদস্য সংগ্রহ অভিযানে গেলে বাসিন্দারাই তাঁকে ওই গ্রামে নিয়ে গিয়ে বিষয়টি দেখান বলে সুকান্ত জানান। রাস্তার কাজের ফিরিস্তি দিয়ে সেখানে বসানো ফলকটি দেখিয়ে বাসিন্দারা কাটমানির অভিযোগ তোলেন। এলাকাবাসীর অভিযোগ, কাজ না করে কাটমানি খেয়ে ওই টাকা নয়ছয় হয়ে থাকতে পারে।
তৃণমূলের বংশীহারি ব্লক সভাপতি সত্যেন রায় বলেন, ‘‘সাংঘাতিক অভিযোগ। রাস্তার কাজ না করে সত্যিই যদি টাকা নয়ছয় হয়ে থাকে তা হলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ তিনি বুধবার বিষয়টি খোঁজ নেবেন বলে জানান। বংশীহারির বিডিও সুদেষ্ণা পাল জানান, ওই রাস্তার বিষয়টি জানা নেই। খোঁজ নেবেন বলে জানান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy