শঙ্কর ঘোষ। —ফাইল চিত্র।
রাজ্যে বিভিন্ন ‘দুর্নীতি’ মামলার তদন্ত করছে ইডি এবং সিবিআই। শিক্ষক নিয়োগ মামলার মতো কোনও কোনও ক্ষেত্রে দুটি কেন্দ্রীয় সংস্থাই তদন্ত করছে। এরই মধ্যে ইডির ডিরেক্টরকে চিঠি দিলেন শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। সোমবার শিলিগুড়ির জার্নালিস্ট ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠক করে এমনটাই জানালেন তিনি। বিধায়ক বলেন, ‘‘রাজ্যের সরকার দুর্নীতিতে নিমজ্জিত। বিভিন্ন মন্ত্রী-আমলারা জেলে। সেই দুর্নীতির ছাপ উত্তরবঙ্গেও রয়েছে বলে আমি মনে করি। এখানেও অনেকের চাকরি গিয়েছে। অবৈধ ভাবে পাওয়া অর্থ বিভিন্ন জায়গায় বিনিয়োগ হচ্ছে।’’
শঙ্করের সংযোজন, ‘‘রেশনের ক্ষেত্রে একই পরিবারে ডিলার, ডিস্ট্রিবিউটর রয়েছেন। একাধিক অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। এর সঙ্গে যে আর্থিক তছরুপ রয়েছে, সেগুলি যাতে ইডি খতিয়ে দেখে এবং দ্রুত অপরাধীদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়, তার জন্য ইডির ডিরেক্টরকে অনুরোধ করেছি।’’ যদিও এ নিয়ে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী, অধুনা শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব কটাক্ষ করেছেন শঙ্করকে। তৃণমূল নেতা গৌতমের কথায়, ‘‘হাতে চে-র উল্কি মুছে বিজেপি করুক।’’
উল্লেখ্য, এক সময় সিপিএমে ছিলেন শঙ্কর। প্রাক্তন মন্ত্রী, প্রবীণ সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্যের ‘শিষ্য’ বলা হত তাঁকে। যদিও ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে ‘গুরু’র বিরুদ্ধে ভোটে দাঁড়িয়ে তাঁকে পরাজিত করেন শঙ্কর। হাতে চে গেভারার উল্কি নিয়ে ভোটের আগে আচমকাই তিনি বিজেপিতে যোগ দেন শঙ্কর।
উত্তরবঙ্গে ‘দুর্নীতি’ প্রসঙ্গে শঙ্কর দাবি করেছেন, ‘‘প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী থেকে শুরু করে আমলারা জেলে। আমরা ভেবেছিলাম, দক্ষিণবঙ্গের পর উত্তরবঙ্গেও তদন্ত হবে। রাজ্য সরকারের জন্য উত্তরবঙ্গ যে ভাবে অন্ধকারে রয়েছে... উত্তরবঙ্গের অপরাধীদের উপর এ বার একটু আলো পড়া দরকার। তার জন্যই ইডির কাছে আবেদন।’’
তৃণমূলের দাবি, বিজেপি বিধায়ক নিজের অধিকার বলে এমন চিঠি দিতেই পারেন। তাতে কারও কিছু বলার নেই। কিন্তু পুরো ব্যাপারটাকেই তারা প্রচার পাওয়ার চেষ্টা বলে বর্ণনা করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy