প্রতীকী ছবি।
থানায় বসে বিজেপির যে নেতা-কর্মীরা মাংস ভাত খেয়েছিলেন, তাঁরা দলীয় শাস্তির মুখে পড়তে চলেছেন বলে সূত্রের খবর। বিজেপির জেলা সহ সভাপতি, শ্রমিক মোর্চার নেতা ও বেশ কয়েকজন কর্মীর মাংস ভাত খাওয়ার ভিডিয়ো ফুটেজ ভাইরাল হয়েছিল (ফুটেজের সত্যতা আনন্দবাজার যাচাই করেনি)। সূত্রের খবর তাঁদের সকলকে শোকজ করা হচ্ছে। বিধায়ক মৃত্যুর প্রতিবাদের দিন কেন ক্যামেরার সামনে নেতা-কর্মীরা হাসিমুখে খাসির মাংস-ভাত খেলেন তার কারণ লিখিত ভাবে জানাতে বলা হবে বলে সূত্রের খবর।
হেমতাবাদে বিধায়ক খুনের অভিযোগ তুলে দলের ডাকা বন্ধ সফল করতে গত মঙ্গলবার রাস্তায় নেমেছিলেন বিজেপি কর্মীরা। তাঁদের গ্রেফতার করে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। থানায় সেই কর্মীদের মাংস-ভাত খাওয়ানো হচ্ছে বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি, ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ে। তা নিয়ে বামেরা কটাক্ষ শুরু করে, তৃণমূলও। বিজেপির জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামী দাবি করেছিলেন দলের কর্মীরাই মাংস রান্না করে ধৃত নেতা-কর্মীদের থানায় পৌঁছে দিয়েছিলেন। এ দিন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “থানায় যদি আটকে রাখে তাহলে যা খেতে দেবে তাই তো খেতে হবে। না খেয়ে তো মারা যেতে পারেন না আমার কর্মীরা। সবাইকে ওঁরা হয়তো মাংস ভাত খাওয়ায়, আমাদেরকেও খাইয়েছে। থানা যদি খাওয়ায়। থানা লাঠি খাওয়ালেও খাচ্ছি আমরা, কেস খাওয়ালেও খাচ্ছি। যদি মাংস-ভাত খাইয়ে থাকে খেয়েছে।’’ মাংস-ভাতের পুরো দায়িত্ব জেলা পুলিশ সুপারের বলে দিলীপ ঘোষ দাবি করেছেন।
গত মঙ্গলবার ওই ছবি-ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়ার পরদিন বদলি করা হয় জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার আইসি বিশ্বাশ্রয় সরকারকে। তারপরদিনই জলপাইগুড়ির জেলা পুলিশ সুপারের পদ থেকে অভিষেক মোদীকেও বদলি করা হয়।
জেলা বিজেপির একটি সূত্রের দাবি, জেলা দলের অন্দরেও এ বার রদবদলের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। সূত্রের খবর, গোটা ঘটনায় সঙ্ঘের নেতারা ক্ষুব্ধ। সঙ্ঘের রাজ্যস্তরের নেতারা বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর করেছেন। ভিডিয়োতে যাঁদের দেখা গিয়েছে তাঁদের সকলের নাম, দলের পদ কী তা জেনেছেন। সঙ্ঘ ক্ষোভ প্রকাশ করার পরেই নড়েচড়ে বসেছে বিজেপি নেতৃত্ব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy