ফাইল চিত্র।
বিজেপিতে যোগ দেওয়ার তিন সপ্তাহ পর মালদহে ফিরলেন দু’বার দলবদলকারী গাজলের বিধায়ক দীপালি বিশ্বাস। রবিবার দুপুরে জেলা কার্যালয়ে তাঁর হাতে বিজেপির তিনটি ‘বই’ তুলে দেন দলের সভাপতি গোবিন্দ চন্দ্র মণ্ডল। বিজেপি নেতৃত্বের একাংশের দাবি, বই দিয়েই বিজেপির ‘স্কুলে’ হাতে-খড়ি হল দীপালির। আর জেলায় ফিরেই শুভেন্দু অধিকারীর ধাঁচেই দলের সাধারণ কর্মী হয়েই কাজ করবেন বলে জানান দীপালি।
সিপিএম ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়ে উত্তর মালদহের সাংসদ হয়েছেন খগেন মুর্মু। তাঁর ঘনিষ্ঠদের দাবি, ‘‘দলবদলের পরে খগেনকে সঙ্ঘের তরফ থেকে একাধিক বই পড়তে দেওয়া হয়েছিল। সঙ্ঘের সেই বইগুলি প্রকাশ্যে নিয়ে আসা হয়নি।” তবে এ দিন প্রকাশ্যেই দীপালির হাতে পঞ্চনিষ্ঠা, একাত্ম মানববাদ এবং আত্মনির্ভর ভারত, বই তিনটি তুলে দেওয়া হয়েছে। বই কেন? গোবিন্দ বলেন, “বিজেপি দলের কিছু নীতি-নিষ্ঠা রয়েছে। নতুনদের কাজের সুবিধার্থে বইগুলি দেওয়া হচ্ছে।”
গত, ১৯ ডিসেম্বর মেদিনীপুরে অমিত শাহের সভায় শুভেন্দুর হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দেন দীপালি ও তাঁর স্বামী রঞ্জিত। দীপালি ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের সমর্থনে সিপিএমের টিকিটে বিধায়ক হন। ওই বছরই তিনি যোগ দেন তৃণমূলে। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর দীপালির জেলায় পৌঁছতে দেরি নিয়ে জল্পনাও তৈরি হয়েছিল। বিজেপির একাংশের দাবি, ২০১৬ সালে গাজলে বিজেপি তৃতীয় স্থানে থাকলেও লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে দল অনেকটা এগিয়ে রয়েছে। ফলে ওই আসনে টিকিটের একাধিক দাবিদার রয়েছে। এমন অবস্থায় দীপালি দলে যোগ দেওয়ায় টিকিটের দাবিদারের সংখ্যা আরও বেড়েছে।
যদিও এদিন দীপালিকে স্বাগত জানাতে দলীয় কার্যালয়ে ছিলেন গাজলের বিজেপি নেত্রী সাগরিকা সরকার, গত বিধানসভা নির্বাচনের দলের প্রার্থী শুধাংশু সরকার, মিলন দাসেরা। সবাই মিলেই দীপালির হাতে দলীয় পতাকা, উত্তরীয় তুলে দেন। সাগরিকা বলেন, “টিকিটের বিষয়ে ঠিক করবে দল। ওসব নিয়ে না ভেবে সবাই মিলে আমরা দলের হয়ে কাজ করব।” দীপালি বলেন, “আমি দলের সাধারণ কর্মী হিসেবে কাজ করতে চাই। দল যেভাবে দায়িত্ব দেবে, সেই ভাবেই কাজ করব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy