Advertisement
২৫ নভেম্বর ২০২৪
Birds

নৌকায় চেপে পাখি সুমারি রসিকবিলে

রসিকবিলের বিশাল জলাভূমির কিছু অংশে নৌকায় গণনাকর্মীদের যাতায়াত করতে হবে, তাই তৈরি থাকছে বন দফতর। হাঁটাপথেও কাজ করবেন তাঁরা।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

অরিন্দম সাহা
কোচবিহার শেষ আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০২১ ০২:৪৮
Share: Save:

নৌকায় চেপে রসিকবিলে পাখি সুমারির প্রস্তুতি শুরু করেছে কোচবিহার বন দফতর। দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৮ জানুয়ারি সকাল থেকে সেখানে পাখি সুমারির কাজ শুরু হবে। চলবে দিনভর। ১৭ জানুয়ারি রবিবার পাখি সুমারির কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিবেশপ্রেমী সংস্থার কর্মীদের রসিকবিলে পৌঁছনোর কথা রয়েছে। বনকর্তা, কর্মীদের সঙ্গে সুমারির রূপরেখা চূড়ান্ত করা নিয়ে সে দিন তাঁদের আলোচনা হবে। কাজের সুবিধার জন্যই ওই উদ্যোগ।

পাখি সুমারির কাজের জন্য তৈরি রাখা হচ্ছে একাধিক নৌকা। রসিকবিলের বিশাল জলাভূমির কিছু অংশে নৌকায় গণনাকর্মীদের যাতায়াত করতে হবে, তাই তৈরি থাকছে বন দফতর। হাঁটাপথেও কাজ করবেন তাঁরা।

বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বছরের পাখি সুমারির কাজে ২০ জন গণনাকর্মী থাকছেন। তাঁদের মধ্যে শিলিগুড়ির পরিবেশপ্রেমী সংস্থার তরফে ১০ জন থাকছেন। বাকি ১০ জন বন দফতরের কর্মী, আধিকারিক।

কোচবিহারের ডিএফও সঞ্জিতকুমার সাহা বলেন, “রসিকবিলে পাখি সুমারির প্রস্তুতি অনেকটাই এগিয়েছে। সব মিলিয়ে ২০ জন গণনাকর্মী সুমারির কাজে অংশ নিচ্ছেন। নৌকা চেপেও ওই কর্মীদের সুমারির কাজে ঘুরতে হবে।”

কোচবিহারের রসিকবিলের জলাভূমিতে শীতে প্রতি বছরই প্রচুর পরিযায়ী পাখির ভিড় হয়। এ ছাড়াও অন্য নানা প্রজাতির পাখিও নজর কাড়ে। মূলত পরিযায়ী পাখিদের ভিড়ের জন্যই ওই এলাকা শুরুতে পরিচিতি লাভ করে। পরবর্তী সময়ে সেখানকার বিশাল জলাশয় লাগোয়া চত্বরে গড়ে ওঠে মিনি জু। তবে এখনও শীতের মরসুমে পাখি দেখার টানেই প্রচুর পর্যটক প্রতি বছর সেখানে যান।

দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আগে শীতের মরসুমে গ্যাডওয়াল, গ্রে হেডেড ল্যাপউইং, রেড কেস্টেড প্রোচার্ড, কমন প্রোচার্ড, ফেরুজিনিয়াস, ফ্যালকেটেড ডাক-এর মতো হরেক প্রজাতির পাখির দেখা মিলেছে। গত বছর সেখানে অসম্ভব ক্ষিপ্রতায় শিকার ধরতে পটু ‘বৃহৎ ঈগলের’ সন্ধানও পান গণনাকর্মীরা। ৫৪ প্রজাতির ৪ হাজার ৬৫৪টি পাখির সন্ধান সে বার মিলেছিল।

ডিএফও বলেন, ‘‘এ বার পাখি বেশি দেখা যাচ্ছে। সংখ্যা বাড়তে পারে। সুমারিতে স্পষ্ট হবে।’’ সুমারির দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা ন্যাফের মুখপাত্র অনিমেষ বসু বলেন, ‘‘কুয়াশা থাকলে দৃশ্যমানতা কমে যায়। পাখি দেখায় সমস্যা হয়। এখন এটাই শুধু চিন্তার।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Rasikbil Census Birds
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy