ফেরত: সঙ্গীদের হাত দিয়ে বিমল গুরুংকে পতাকা পাঠালেন বিনয় তামাং। নিজস্ব চিত্র।
নিজের হেফাজতে থাকা মোর্চার সমস্ত পতাকা পাতলেবাসে বিমল গুরুংয়ের কাছে পাঠিয়ে দিলেন বিনয় তামাং৷ শুক্রবার সকালে বিনয়ের কিছু অনুগামী পতাকাগুলি নিয়ে মোর্চার আদি দফতর পাতলেবাসে যান। সেখানে তাঁদের খাদা পরিয়ে স্বাগত জানান বিমলের স্ত্রী আশা গুরুং ও ঘনিষ্ঠ সঙ্গী রোশন গিরি। গুরুং বলেন, ‘‘পাহাড়ে মোর্চা একটাই থাকবে৷ ভুল-ত্রুটি ভুলে সবার জন্য আমার দরজা খোলা।’’ বৃহস্পতিবার বিনয় মোর্চা ছাড়ার কথা ঘোষণার পর গুরুং সব ভুলে তাঁকে স্বাগত জানিয়েছিলেন। এ দিন এক ধাপ এগিয়ে জানান, দরজা সকলের জন্যই খোলা।
তবে গুরুংয়ের এই ডাকে বিনয় বা অনীত থাপা সাড়া দেবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। এক দিকে, বিনয় দিনভর ডালির বাড়িতেই নিজেকে আবদ্ধ রাখলেন। হাতে গোনা লোকজনের সঙ্গে দেখা করেন। তিনি বলেন, ‘‘আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই সব স্পষ্ট হবে।’’ তবে গুরুংয়ের পাশে ফিরবেন, নাকি তৃণমূল বা পুরনো দল জিএনএলএফে যাবেন, তা রহস্যই রেখেছেন।
অনীত থাপা আগাম ঘোষণা মতো এ দিন কার্শিয়াং টাউন হলে কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক করেন। বিনয়ের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে আপাতত সভাপতি পদ খালি রেখে মোর্চার দ্বিতীয় গোষ্ঠীর কার্যকরী সভাপতি অনীতই হয়েছেন। নিজেদের দলকে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা বলে সবাইকে তাঁদের দলে যোগ দেওয়ার পাল্টা প্রস্তাব দেন অনীত। তিনি বলেন, ‘‘২০১৭ সাল থেকে নতুন চিন্তা, নতুন দিশার রাজনীতি পাহাড়ে শুরু হয়েছে। আগামীতেও চলবে। আসুন, সবাই আমাদের সঙ্গে পথ চলা শুরু করুন।’’
অনীতের বৈঠকে কালিম্পঙের মোর্চা বিধায়ক রুদেন লেপচা থেকে শুরু করে দার্জিলিং, কার্শিয়াং, কালিম্পং, মিরিকের সব জেলা কমিটি, কেন্দ্রীয় কমিটি মিলিয়ে শতাধিক নেতানেত্রী উপস্থিত ছিলেন। ডিকে প্রধান, সতীশ পোখরেলের মতো প্রবীণ নেতা বা কেশব রাজ পোখরেল, অলককান্তমণি থুলুংয়ের মতো যুব নেতাদের অনীতের পাশে দেখা যায়। বিনয়কে নিয়ে দলের তরফে কেশব রাজ পোখরেল বলেন, ‘‘উনি আমাদের সর্বোচ্চ নেতা ছিলেন। বড় মাপের মানুষ। যা করেছেন সেটা ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। আমাদের দল থাকছে। ওঁর জন্য শুভেচ্ছা রইল।’’
এ দিন গুরুং শিবির থেকে জানানো হয়েছে, কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে মোর্চায় এত দিন বিমল ও বিনয় শিবির চালু ছিল। বিনয় সরে যাওয়ায় দ্বিতীয়টি আর রইল না। নির্বাচন কমিশনেও নথিভুক্তিকরণে বিমল গুরুং ও রোশন গিরির নাম রয়েছে। জবাবে অনীত বলেছেন, ‘‘আমরা নিজেদের অনীত শিবির বলছি না। আমরা মোর্চা। ওই পতাকা আমাদেরও। বাকিটা আইনি প্রক্রিয়ায় বুঝে নেব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy