বিমল গুরুং, রোশন গিরিরা আত্মগোপন করেই আছেন। ভোটের আগে দলের হাল ধরেছিলেন বিপি বজগাই। মামলার জেরে তিনিও জেলে। আর যে কয়েক জন নেতা সামনে এসে নেতৃত্ব দিতে পারেন, তাঁদের প্রায় প্রত্যেকের নামেই একাধিক মামলা ঝুলছে। পুলিশ গ্রেফতার করতে পারে এই ভয়ে তাঁরাও সে ভাবে সামনে আসছেন না। ফলে পাহাড়ের মানুষের ধরাণা, জিতেও কোণঠাসা হয়ে আছে বিমলপন্থী মোর্চা। প্রতিটি পদক্ষেপেই তাদের বিজেপির সাহায্যের প্রয়োজন হচ্ছে বলেই জানিয়েছেন মোর্চার কেন্দ্রীয় নেতাদের একাংশ। নিরাপত্তা দিতে না পারায় দার্জিলিং পুরসভার ১৭ জন কাউন্সিলরকেও ধরে রাখতে পারা যায়নি বলেই জানিয়েছেন তাঁরা।
সূত্রের খবর, এই পরিস্থিতিতে বিনয় তামাংয়ের বিরোধিতায় বিজেপির দিকে ঝুঁকছেন বিমল শিবিরের অনেক নেতাই। বিভিন্ন এলাকায় তাঁদের ছোট মাপের নেতাদের একাংশ যে ইতিমধ্যেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন, তা স্বীকার করে নিয়েছেন বিমলপন্থীদের অনেকেই। ফলে পাহাড়ে বিমল শিবির ভেঙেই পদ্ম শিবির গড়ার কাজ শুরু হয়েছে বলেই মনে করছেন তাঁরা।
রাখঢাক না রেখেই বিমল শিবিরের এক কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, ‘‘এখন যা পরিস্থিতি, তাতে আমরা বিজেপি থেকে বের হয়ে এলে সারা জীবন জেলে কাটাতে হবে। তাই সব বুঝেও চুপ করে থাকতে হচ্ছে।’’ পাহাড়ে বিজেপির বাড়বাড়ন্তে বিমলকেই দুষছেন বিনয়। তিনি বলেন, ‘‘বিজেপির শক্তি বাড়ায় ক্ষতি হচ্ছে বিমল গুরুংদের। তাঁদের দলের একের পর এক নেতা, কর্মীরাই বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন। আমাদের কোনও ক্ষতি নেই। যেসব কাউন্সিলররা গিয়েছেন, তারাও বিমলেরই লোক ছিল। পাহাড়ে খাল কেটে কুমির আনতে চাইছেন বিমল।’’
বিজেপি নেতাদের একাংশ বলছেন মাস ছয়েক আগেও দার্জিলিংয়ে দলের মিছিল করার মতো শক্তিও ছিল না। এখন শনিবার দিল্লিতে মুকুল রায়, রাজু বিস্তা দুজনেই দাবি করেছেন কার্শিয়াং, কালিম্পং ও মিরিক পুরসভাও তাঁরা দখল নেবেন। সহযোগী দলগুলি না থাকলে দার্ডিলিম লোকসভা ও বিধানসভায় জেতা যে সম্ভব ছিল না, তা প্রকাশ্যেই স্বীকার করেছেন বিস্তা ও বিধায়ক নীরজ জিম্বা। যদিও শিবির ভাঙানোর দাবি অস্বীকার করেছেন বিজেপির পাহাড় কমিটির সভাপতি মনোজ দেওয়ান। তিনি বলেন, ‘‘শিবির ভাঙ্গানোর ব্যাপার নেই। আমরা জোটসঙ্গীদের সহযোগিতা করছি। মিলেমিশেই কাজ হচ্ছে।’’ বিমলপন্থী মোর্চার কার্যকারি সভাপতি লোপসাং লামা বলেন, ‘‘জোটের নিয়ম মেনেই কাজ করছি আমরা। অযথাই কেউ কেউ বিভেদ দেখানোর চেষ্টা করছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy