ফাইল চিত্র।
ময়নাগুড়িতে বিকানের-গুয়াহাটি এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় আহতদের খোঁজখবর নিতে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে এলেন ‘রেলওয়ে সেফটি’ দফতরের কমিশনার লতিফ খান। তাঁর সঙ্গে আসেন সিআরএসএ-এর সদস্যরাও। দুর্ঘটনাগ্রস্তদের সঙ্গে একে একে কথা বলেন তাঁরা। শিকড়ে গিয়েই রেল দুর্ঘটনার তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছিলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। এর পরই মাঠে নেমে পড়ল রেলওয়ে সেফটি দফতর এবং সিআরএসএ।
দুর্ঘটনায় আহতদের সঙ্গে কথা বলে লতিফ বলেন, ‘‘আহতদের সঙ্গে কথা বললাম। দুর্ঘটনার মুহূর্তে কেমন অবস্থার সম্মুখীন হতে হয়েছে তাঁদের, কী ভাবে তাঁরা প্রাণে বাঁচলেন— এ সব কিছুই জানতে চাওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থলও পরিদর্শন করা হয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে। সময় মতো বিস্তারিত জানানো হবে। যাঁরা আহত তাঁদের সকলকেই নির্ধারিত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।”
ময়নাগুড়িকে রেল দুর্ঘটনার নেপথ্যে কী কারণ রয়েছে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা যাচ্ছে, ট্রেনের ইঞ্জিনে কিছু সমস্যা ছিল। ট্র্যাকশন মোটর ভেঙে এই দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ওই ট্রেনের সহকারী-চালকের বক্তব্যেও তেমনই ইঙ্গিত মিলছে।
সহকারী চালক প্রদীপ কুমার বলেন, ‘‘আমি প্রথমে বুঝতে পারিনি, ট্রেন লাইনচ্যুত হয়েছে। প্রথমে ঝাঁকুনি বুঝে সঙ্গে সঙ্গেই ইমার্জেন্সি ব্রেক কষি। পরে বুঝলাম, লাইনচ্যুত হয়েছে ট্রেন। কী কারণে হল, এখনও জানি না। তদন্ত হলেই বোঝা যাবে। বোধহয় ট্র্যাকশন মোটর ভেঙেই এই দুর্ঘটনা। সিআরএসএ-র তরফে তদন্ত হবে নিশ্চয়ই।’’
জানা গিয়েছে, আপ বিকানের এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন ছিল ওয়াপ ফোর ক্যাটেগরির। এতে চারটি করে ট্র্যাকশন মোটর থাকে। ওই মোটরের কাজ হল এটি ইঞ্জিনের চাকাকে রেল লাইনে ধরে রাখতে ও চাকাকে ঘোরাতে সাহায্য করে।
প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে আরও একটি বিষয়। জানা গিয়েছে, ৪২/১ নম্বর পিলার থেকে দুর্ঘটনার সূত্রপাত। সেখান থেকেই রেললাইনের মাঝে থাকা কংক্রিটের স্লিপার ভাঙতে শুরু করে। এর পরই লাইনচ্যুত হতে শুরু করে একের পর এক বগি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy