ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া
ক্রেতার ফেলে যাওয়া ব্যাগের ভিতর রাখা ছিল তিন কেজি ওজনের একটি বোমা। শুক্রবারে সকালে যখন দিল্লির ফুলের বাজারে ঠাসাঠাসি ভিড়, ঠিক তখনই ওই ব্যাগটি একটি দোকানের সামনে রেখে চলে যান এক ক্রেতা। পরে পুলিশ এসে পুরো বাজার চত্বর খালি করে দেয়। এলাকাটি ঘিরে ফেলে নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। ঘটনাটির নেপথ্যে কোনও জঙ্গিযোগ আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে পুলিশ জানিয়েছে, যারা এই কাজ করেছে, তাদের লক্ষ্য ছিল বড় নাশকতা এবং বেশি ক্ষয়ক্ষতি। ঠিক সময়ে সতর্ক হওয়ায় তা এড়ানো গিয়েছে।
ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার সকাল ৯টা নাগাদ দিল্লির গাজিপুর ফুলের বাজারে। সকালের এই সময়েই বাজারটিতে ভিড় থাকে সবচেয়ে বেশি। ক্রেতাদের পাশাপাশি, বিভিন্ন জেলা থেকে আসা ফুলচাষিরাও হাজির থাকেন এই সময়ে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুলিশ জানতে পেরেছে, এক ব্যক্তি একটি স্কুটারে চেপে ফুলের দোকানে এসে ফুল কেনেন। তারপর স্কুটার এবং ব্যগ দু’টিই দোকানের সামনে রেখে চলে যান। তবে ওই ব্যক্তি কে তা ফুটেজ দেখে চিহ্নিত করতে পারেনি পুলিশ।
শুক্রবার পুলিশকে খবর দেন ফুলের বাজারের এক দোকানি। তিনি জানিয়েছেন, ব্যাগ সমেত স্কুটারটিকে দোকানের সামনে দাঁড় করানো দেখে তাঁর সন্দেহ হওয়ায় পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে ওই ক্রেতার ফেলে যাওয়া ব্যাগের ভিতর থেকে শক্তিশালী আইইডি বিস্ফোরক উদ্ধার করে।
#WATCH | Delhi: National Security Guard (NSG) carries out a controlled explosion of the IED found at East Delhi's Ghazipur Flower Market pic.twitter.com/tV0PMYxSLF
— ANI (@ANI) January 14, 2022
এই ঘটনার সঙ্গে কোনও জঙ্গি সংগঠন জড়িত কি না, তা পুলিশ তদন্ত করে দেখছে। বিশেষ করে সাধারণতন্ত্র দিবসের আগে জঙ্গি নাশকতার সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দিতেও পারছেন না তদন্তকারীরা। প্রত্যেক বছরই এই সময়ে অতিরিক্ত সতর্কতা জারি করা হয় দিল্লি জুড়ে। তবে এ বছর পড়শি রাজ্য উত্তরপ্রদেশর বিধানসভা নির্বাচনও রয়েছে। দিল্লির গাজিপুরে যেখানে ওই ফুলের বাজার সেটিও দিল্লি-উত্তরপ্রদেশ সীমানা লাগোয়া। তাই উত্তর প্রদেশের ভোটের বিষয়টিও মাথায় রাখছেন তদন্তকারীরা।
শুক্রবার ওই বোমা উদ্ধারের পর গাজিপুরের ফুলের বাজার চত্বরটিকেই প্রথমেই খালি করে দেয় পুলিশ। তারপর মাটিতে আট ফুট গভীর গর্ত করে তার ভিতরে নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণ ঘটানো হয় বোমাটির। স্থানীয়রা বোমাটি ফাটার শব্দ পান, এমনকি বাজার থেকে কালো ধোঁওয়াও বের হতে দেখেন। তবে পুলিশ জানিয়েছে, ওই বিস্ফোরণে বাজারে কোনও ক্ষতি হয়নি। তবে ঠিক সময়ে চোখে না পড়লে ওই বোমা ফেটে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। তা থেকে ক্ষয়ক্ষতিও হত প্রচুর। দিল্লি পুলিশের স্পেশ্যাল সেল ঘটনাটির তদন্ত করছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy