রাষ্ট্রপতির হাত থেকে পদ্মশ্রী পুরস্কার গ্রহণ করছেন মাথাভাঙার মেয়ে গীতা রায় বর্মণ। নিজস্ব চিত্র muktankanbarmanabpcob@gmail.com
রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মূর হাত থেকে ‘পদ্মশ্রী’ পুরস্কার গ্রহণ করলেন মাথাভাঙার মেয়ে গীতা রায় বর্মণ। সোমবার সন্ধ্যায়, নয়াদিল্লিতে। উত্তরবঙ্গের ‘মাটির গান’ ভাওয়াইয়া। সেই গানে অসামান্য অবদানের জন্য তাঁকে এই সম্মানে ভূষিত করল ভারত সরকার।
এ দিনের পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক-সহ বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন। সাধারণতন্ত্র দিবসের আগের রাতে ঘোষণা করা হয়েছিল এ বছরের ‘পদ্ম’ সম্মান-প্রাপকদের নামের তালিকা। তাতে নাম ছিল গীতা রায় বর্মণেরও।
এ দিন গীতা ছাড়াও পাঁচ জনকে পদ্মবিভূষণ, ১৭ জনকে পদ্মভূষণ ও ১১০ জনকে পদ্মশ্রী পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। পদ্মশ্রী সম্মান গ্রহণ করার পরে গীতা ফোনে জানান, ‘‘আমি খুবই রোমাঞ্চিত, আনন্দিত এবং সম্মানিত বোধ করছি।’’
মানসাই, সুটুঙ্গা নদী-ঘেরা সংস্কৃতির শহর মাথাভাঙার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা গীতাদেবী। বছর আটচল্লিশের ওই শিল্পীর জন্ম শীতলখুচি ব্লকের ছোট শালবাড়ি গ্রামের সর্বেশ্বর জয়দুয়ার গ্রামে। রেডিয়ো বাংলাদেশের তিস্তাপাড়ের গান শুনে, বাবা-ঠাকুরদার অনুপ্রেরণায় খুব অল্প বয়স থেকেই ভাওয়াইয়া গানে হাতেখড়ি হয় তাঁর। ২০০০ সালে স্কুলশিক্ষক মনোরঞ্জন বর্মণের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। স্বামী, দুই ছেলেকে নিয়ে গীতাদেবীর সংসার। তা সামলেই চালিয়ে গিয়েছেন সঙ্গীতের সাধনা। এত দিন পর্যন্ত তাঁর ঝুলিতে ছিল রাজ্যের সেরা ভাওয়াইয়া শিল্পীর শিরোপা।
গীতাদেবী বলেন, ‘‘কোচবিহারের এক জন রাজবংশী ঘরের মেয়ে হিসেবে এই পুরস্কার আমার কাছে ভীষণ গর্বের। মাটির গান তো ভালবাসা থেকে গাওয়া হয়। এ জন্য আলাদা করে কোনও প্রচার তো হয় না। টিভিতে জনপ্রিয় গানের অনুষ্ঠানেও এই ধরনের গান কম গাওয়ার প্রবণতা লক্ষ্য করি।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘ভাওয়াইয়া গানের জন্য এই পুরস্কার। আমি যেমন উচ্ছ্বসিত, তেমনই ভাওয়াইয়া-প্রেমী অন্যরাও ভীষণ অনুপ্রাণিত হবেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy