জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে জরুরি বিভাগেই রুগী দেখছেন সিনিয়র ডাক্তারেরা। সোমবার। ছবি: সন্দীপ পাল
নবান্নে চিকিৎসকদের দাবিদাওয়া নিয়ে বৈঠক ফলপ্রসূ হতেই সন্ধ্যায় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের প্রশাসনিক ভবনের সামনে হুল্লোড় শুরু করেন জুনিয়র চিকিৎসকদের একাংশ। আন্দোলনের জেরেই দাবি আদায়ে তাঁরা সাফল্য পেলেন বলে জানিয়ে স্লোগান দেন। সন্ধ্যা সাতটা থেকেই জুনিয়র চিকিৎসকরা আগের মতো ওয়ার্ডে চিকিৎসার কাজে যোগ দিয়েছেন বলে হাসপাতাল সুপারের দফতর থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়।
মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও জুনিয়র চিকিৎসকরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। তাঁরাও কাজে যোগ দিচ্ছেন বলে মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়। সোমবার আইএমএ দেশব্যাপী চিকিৎসা পরিষেবা বন্ধের ডাক দিয়েছিল। তার জেরে কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজ, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ, রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ বা মালদহ মেডিক্যাল কলেজ-সহ বিভিন্ন হাসপাতালে বহির্বিভাগের পরিষেবা মেলেনি। তবে ছাত্র আন্দোলনের জেরে মালদহ এবং উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে বহির্বিভাগ গত বুধবার থেকেই বন্ধ রয়েছে। কলকাতার বৈঠকের পর আজ, মঙ্গলবার থেকে পরিষেবা স্বাভাবিক হবে বলে কর্তৃপক্ষ আশা প্রকাশ করেন।
উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার কৌশিক সমাজদার বলেন, ‘‘মঙ্গলবার থেকে বহির্বিভাগ আগের মতো খোলা থাকবে। জুনিয়র চিকিৎসকেরা এ দিন সাতটা থেকে কাজে যোগ দিয়েছেন ওয়ার্ডগুলোতে।’’ একই কথা জানিয়েছেন কোচবিহার সরকারি মেডিক্যাল হাসপাতালের সুপার রাজীব প্রসাদও। আইএমএ-র কোচবিহার শাখার কার্যনির্বাহী সম্পাদক শিখা গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “এ দিনও আন্দোলনে সামিল হয়েছি আমরা। তার মধ্যে থেকেই সমান্তরাল বহির্বিভাগ করা হয়েছে জরুরি বিভাগে। মঙ্গলবার থেকে বহির্বিভাগে চিকিৎসকরা বসবেন।”
মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে জুনিয়র চিকিৎসকদের এদিন সন্ধ্যার পর থেকে আর মেডিক্যাল কলেজের প্রশাসনিক ভবনের সামনে বসে থাকতে দেখা যায়নি। এ দিন বেশ কয়েকজন জুনিয়র চিকিৎসক রাত থেকেই ডিউটি করতে দেখা গিয়েছে হাসপাতালে। তাঁরা জানিয়েছেন, সোমবার রাতে কিছু জুনিয়র চিকিৎসক কাজ শুরু করেছেন। মঙ্গলবার সকাল থেকে সকলেই কাজে যোগ দেবেন। জুনিয়র চিকিৎসকেরা জানান, মুখ্যমন্ত্রীর সভা থেকে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত যে সমস্ত পদক্ষেপের কথা বলা হয়েছে সে সব যেন এই হাসপাতালেও কার্যকর করা হয়।
আইএমএর ডাকে এদিন রায়গঞ্জের বেসরকারি ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোও বন্ধ ছিল। আন্দোলন তুলে নেওয়ার ইঙ্গিত পেতেই একাধিক বেসরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসা পরিষেবা স্বাভাবিক হয়। সন্ধ্যার পর চিকিৎসকরাও রোগী দেখেন। তবে নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তা এখনই কাটছে না বলেও জানান অনেকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy