ফাঁকা: রয়েছে পরিকাঠামো। তবুও নেই রোগী। নিজস্ব চিত্র
পাঁচশো বেডের হাসপাতাল৷ কিন্তু সিংহভাগই পড়ে রয়েছে ফাঁকা৷
খোদ মুখ্যমন্ত্রীর হাত দিয়ে ২০১৬ সালের জুন মাসে উদ্বোধন হয়েছে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের৷ তারপর এক বছর চার মাস কেটে গেলেও ওই হাসপাতালের অন্তর্বিভাগ এখনও চালুই করতে পারল না স্বাস্থ্য দফতর৷ নিয়ম রক্ষার জন্য শুধুমাত্র হাতে গোনা আট থেকে দশজন মেডিসিন বিভাগের রোগীকে সেখানে ভর্তি রাখা হয়৷ বাকি সমস্ত বেড ফাঁকাই পড়ে থাকে৷ অথচ, জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে অনেক রোগী বেড না পাওয়ায় তাদের মেঝেতে রাখতে হচ্ছে৷
সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল উদ্বোধনের এতদিন পরেও অন্তর্বিভাগ এখনও চালু না হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই ক্ষোভ বাড়ছে রোগী ও রোগীর আত্মীয়দের মধ্যে৷ যদিও জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা এ জন্য চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীর অভাবকেই দায়ি করেছেন৷
জানা গিয়েছে, জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের জন্য ৬৮ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের প্রয়োজন৷ দরকার দেড় শতাধিক নার্সিং স্টাফ। অথচ, রয়েছেন মাত্র সাতজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। জেলার এক স্বাস্থ্য কর্তারার কথায়, ‘‘বারবার করে রাজ্যে স্বাস্থ্য দফতরে চিঠি পাঠিয়েও সমস্যার সমাধান হচ্ছে না৷ ফলে ওই হাসপাতালের জন্য অনেক দামি দামি যন্ত্রপাতি কেনা হলেও তা পড়ে রয়েছে৷
জানা গিয়েছে, ২০১৬-র জুন মাসে উদ্বোধনের পর ওই হাসপাতালে চর্মরোগ ও দন্ত বিভাগের আউটডোর চালু হয়৷ তারপর এ বছর মুখ্যমন্ত্রী ফের জলপাইগুড়িতে আসার আগে বেশ কিছু আউটডোর বিভাগ সেখানে চালু করা হয়৷ তখন থেকেই কয়েকটি বেডে রোগী ভর্তি নেওয়া শুরু হয়৷ কিন্তু চিকিৎসকের অভাবে এখনও পর্যন্ত ওই হাসপাতালে জরুরি বিভাগও চালু করা যায়নি৷ এমনকি, বিভিন্ন পরীক্ষার ব্যবস্থাও এখনও চালু হয়নি৷ ফলে ওই হাসপাতালের আউটডোরে প্রতিদিন প্রচুর রোগীর ভিড় হলেও রক্ত পরীক্ষা, আলট্রা সোনোগ্রাফি -সহ নানান পরীক্ষার জন্য তাদের ছুটতে হচ্ছে জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে৷
জলপাইগুড়ির সিএমওএইচ জগন্নাথ সরকার বলেন, ‘‘আমরা চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীর জন্য রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরে চিঠি পাঠিয়েছি৷ আর কয়েকজন চিকিৎসক কাজে যোগ দিলেই ইনডোরে কয়েকটি বিভাগ পুরোপুরি চালু করে দেওয়া হবে৷’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy