—প্রতীকী ছবি
কোনও স্কুলে হয়তো ৩-৪ বছর আগে থেকে রাজবংশী ভাষায় পড়াশোনা চলছে। কোথাও আবার হয়তো ডাবিঘরেও (বাড়ির বাইরে থাকা বিশ্রামের জন্য এক ধরনের খোলা ঘর) পঠনপাঠন হচ্ছে। সেই স্কুলগুলির অনুমোদনের জন্য দীর্ঘদিন থেকে দাবি জানিয়ে আসছিলেন বংশীবদন বর্মণ। তিনি বর্তমানে রাজবংশী ভাষা অ্যাকাডেমি এবং রাজবংশী উন্নয়ন ও সাংস্কৃতিক পর্ষদের চেয়ারম্যান। মঙ্গলবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর সেই স্কুলগুলিকে অনুমোদনের আশ্বাস দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার শিলিগুড়িতে সরকারের তরফে অনুমোদনের বিষয়ে ঘোষণা করেছেন পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব।
পর্যটনমন্ত্রী বলেন, ‘‘যে ২০০ স্কুলকে চিহ্নিত করা হয়েছে, সেগুলি নিয়ে সমীক্ষার কাজ শুরু হবে। সেগুলির উন্নয়ন ও পরিকাঠামোর বিষয়টি দেখা হবে। স্কুলগুলিতে প্রাথমিক স্তরে শিক্ষা ব্যবস্থা শুরু হবে।’’
বংশীবদন অনুগামীরা এ দিন মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে কোচবিহার-সহ উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জেলায় মিছিল করেছেন। বংশীবদন এ দিন দাবি করেন, আপাতত মুখ্যমন্ত্রীর নজরে আনার জন্য ২০০ স্কুলের নাম-ঠিকানা, শিক্ষকদের নাম পাঠানো হয়েছিল। আরও অনেক স্কুল রয়েছে, যেগুলির তালিকা তাঁরা দেননি। তাঁরা আশাবাদী, বাকি স্কুলগুলির অনুমোদনও পরে পেয়ে যাবেন। তিনি বলেন, ‘‘অনুমোদনের বিষয়ে শুনেছি। আমরা আশাবাদী, চলতি শিক্ষাবর্ষেই সরকারিভাবে সেই স্কুলগুলিতে পড়াশোনা চালু হবে।’’
কামতাপুরি ভাষার সিলেবাস এখনও তৈরি হয়নি বলে জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এ দিন পর্যটনমন্ত্রীও জানান, সেই ভাষার সিলেবাস তৈরি হলে যেখানে সম্ভব, সেই ভাষায় শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা হবে। কামতাপুর প্রোগ্রেসিভ পার্টির প্রেসিডেন্ট অতুল রায়ের দাবি, তাঁরা ২০১৯ সালে সিলেবাস জমা দিয়েছিলেন। তাঁদের ভাষাতেই স্কুল চালু হচ্ছে বলে তাঁকে জানানা হয়েছে, দাবি করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘‘কামতাপুর ভাষায় স্কুল চালুর কথা বলা হয়েছে। অন্য কোনও ভাষায় চালু হচ্ছে কি না জানা নেই।’’
গত লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের শাসকদলকে নিরাশ করেছিল উত্তরবঙ্গ। নবান্নের বক্তব্য, তার পর থেকে রাজ্য সরকার একের পর এক উন্নয়নমূলক প্রকল্প দিয়েছে উত্তরবঙ্গকে। কিছু দিন আগে কোচবিহারের মানুষের দীর্ঘদিনের আবেগ নারায়ণী সেনার আদলে রাজ্য পুলিশে ‘নারায়ণী ব্যাটালিয়ন’ গঠনের ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
বিরোধীদের দাবি, ভোটের আগে এ সব আশ্বাসের ফুলঝুরি ছাড়া আর কিছুই নয়। সরকারি প্রাথমিক স্কুলের পরিকাঠামো থেকে শিক্ষা ব্যবস্থার হাল খারাপ। সেখানে নতুন স্কুলগুলিকে অনুমোদন দিয়ে লাভ কী হবে, প্রশ্ন তাঁদের। রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু জানান, রাজ্য মন্ত্রিসভায় অনেক কিছুরই অনুমোদন হয়েছে, কিন্তু কাজ হয়নি সে ভাবে। নির্বাচনের আগে মানুষকে ভুল বোঝানো হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘‘সরকারি স্কুলগুলিই চালাতে পারছে না বর্তমান রাজ্য সরকার। রাজবংশী স্কুলগুলি আগে তৈরি করুন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy