সৃষ্টি: দুর্গা মূর্তি হাতে সোমা। নিজস্ব চিত্র
কলমের বাক্স, পুঁতি, মালা, চকোলেটের রাংতা, দেশলাই ও ধূপকাঠি দিয়ে গত বছর ছোট্ট দুর্গামূর্তি গড়ে নজর কাড়েন বেসরকারি স্কুলের শিক্ষিকা সোমা মুখোপাধ্যায়। দুর্গামূর্তিটির উচ্চতা ছিল প্রায় সাড়ে ৪ ইঞ্চি। বালুরঘাট শহরের ডাকবাংলো পাড়ার বাসিন্দা সোমাদেবীর একাগ্রতা ও শিল্প নৈপুণ্যে এ বছর গড়ে উঠেছে আরও ছোট্ট প্রতিমা মূর্তি—উচ্চতা মাত্র ০.৪ সেন্টিমিটার। অর্থাৎ এক সেন্টিমিটারেরও কম। ওই দুর্গামূর্তিটি চওড়ায় মাত্র ০.৩ সেন্টিমিটার। আঠা ও পোস্টার রং ব্যবহার করে সোমাদেবী প্রায় ৪ মাস ধরে ওই দুর্গামূর্তিটি তৈরি করেন। খবর পেয়ে ওই মূর্তি দেখতে বাড়িতে উৎসাহী বাসিন্দাদের ভিড় বাড়ছে। তিনি জানান, আতস কাচের উপর দিয়ে দেখে দুর্গামূর্তিটি তৈরি করেছেন।
সোমাদেবীর স্বামী সৈকতবাবু বালুরঘাটের মাঝিয়ান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। তিনি জানান, কর্ম জগতের বাইরে প্রত্যেক মানুষের একটি নিজস্ব জগত থাকে। সোমা সব কাজ সামলে গত বছর থেকে ছোট্ট দুর্গামূর্তি তৈরি করছেন। এ বারে মূর্তি গড়ার সামগ্রীর উপরে আতস কাচ ধরে ফুটিয়ে তুলেছেন দেবী প্রতিমার চোখ।
দুর্গা ও লক্ষ্মী, সরস্বতী থেকে মায় অসুর পর্যন্ত নিপুণ ভাবে তৈরি হয়েছে। আইসক্রিমের কাঠি ব্যবহার করে হয়েছে প্রতিমার বেদি। রেশমের সুতো দিয়ে দেবদেবীর কেশসজ্জা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। মূর্তির সুক্ষ্ম কারুকার্য খচিত নকশা, যা সামান্য দূর থেকেও দেখা যায় না।
এত কষ্ট করে এমন ছোট একটি মূর্তি গড়লেন কেন?
সোমাদেবী বলেন, ‘‘বিশ্বের সব চেয়ে ছোট্ট দুর্গা তৈরির চেষ্টা করছি।’’ তাঁর লক্ষ্য গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস-এ নাম তোলা।
পুজোর আর মাত্র দেড় মাস বাকি। তার মধ্যে সোমাদেবীর তৈরি ছোট্ট ওই দুর্গামূর্তিকে নিয়ে এলাকায় পুজোর সুবাস ছড়িয়ে পড়েছে। এলাকার মানুষও গর্বিত সোমাদেবীর জন্য।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy