তিন দিন কেটে গিয়েছে। এখনও ছেলের কোনও খোঁজ নেই। বার বার মোবাইলে ফোন করলেও উত্তর মিলছে না। বন্ধ ফোন। অসহায় অবস্থায় পড়েছে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের বর্মণ পরিবার। কুম্ভে পদপিষ্টের ঘটনার পর থেকে ‘নিখোঁজ’ নিতাই বর্মণের সন্ধান পেতে এ বার পুলিশের দ্বারস্থ হলেন তাঁর মা-বাবা।
বছর আঠাশের নিতাইয়ের বাড়ি বালুরঘাট থানার অন্তর্গত ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ শিবরামপুর এলাকায়। পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, অনেক দিন ধরেই মহাকুম্ভে যাবেন বলে পরিকল্পনা করেছিলেন নিতাই। সেই মতো ২৭ জানুয়ারি একাই বালুরঘাট থেকে পাড়ি দেন প্রয়াগরাজ। মৌনী অমাবস্যায় ত্রিবেণী সঙ্গমে স্নান করবেন বলে ঠিক ছিল। মঙ্গলবার রাতে সঙ্গমে স্নান করার জন্য পুণ্যার্থীদের লাইনেও দাঁড়ান নিতাই। তখনই শেষ বার ফোনে তাঁর সঙ্গে কথা হয়েছিল পরিবারের।
গত বুধবার সকালেই কুম্ভে পদপিষ্টের ঘটনা সম্পর্কে জানতে পারে নিতাইয়ের পরিবার। তার পর থেকে নিতাইয়ের সঙ্গে আর কোনও যোগাযোগ করতে পারছে না তারা। বন্ধুদের থেকেও খোঁজ নিয়েছেন নিতাইয়ের বাবা-মা। সকলেই জানিয়েছেন মঙ্গলবার রাতেই ফোনে কথা হয় তাঁর সঙ্গে। তার পর থেকে বন্ধ মোবাইল ফোন।
আরও পড়ুন:
মাঝে তিন দিন কেটে গিয়েছে। নিতাই ফেরেননি বালুরঘাটের বাড়িতে। কোথায় আছেন, আদৌ বেঁচে আছেন কি না জানে না তার পরিবার। পুত্রের খোঁজে বালুরঘাট থানার দ্বারস্থ হন নিতাইয়ের মা সন্ধ্যা বর্মণ। সূত্রের খবর, অভিযোগ পাওয়ার পরই প্রয়াগরাজ থানার সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছে পুলিশ। যদিও এখনও নিতাইয়ের কোনও খোঁজই দিতে পারেনি প্রয়াগরাজের পুলিশ।