এ ভাবে চটের বস্তা মুড়িয়ে বনবিড়ালটিকে উদ্ধার করা হয়। —নিজস্ব চিত্র।
গভীর রাতে কুয়োর মধ্যে বাঘের গর্জন। উদ্ধারকার্য চালাতে গিয়ে হুলস্থুল কাণ্ড। রাত ভর তা নিয়ে চলল টানাপড়েন। পাড়ার লোকজন ও দমকল কর্মীদের প্রচেষ্টায় শেষ মেশ কুয়ো সেটিকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়। তবে শেষে দেখা যায় সেটি আসলে বনবিড়াল।
জলপাইগুড়ির মিলাপাড়ার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বসাকপাড়ায় শনিবার রাতে এই ঘটনা ঘটেছে। মাঝরাতে কান্নার আওয়াজে আচমকাই ঘুম ভেঙে যায বাড়ির মালিক মিঠুন বসাকের। প্রতিবেশিদের ডেকে কুয়োর মধ্যে টর্চ ফেলতেই অবাক সকলে। দেখা যায় কুয়াশার মধ্যে কুয়োর জলে কোনও রকমে মাথা উঁচিয়ে রয়েছে কিছু একটা।
প্রথমে চিতাবাঘ বলে সন্দেহ হয় সকলের। সঙ্গে সঙ্গে বন দফতরকে খবর দেন সকলে। খবর দেওয়া হয় দমকল এবং বিন্নাগুরি ওয়াইল্ড লাইফ স্কোয়াডেও। তারা এসে আলো ফেলতে দেখা যায় চিতাবাঘ নয়, কুয়োর জলে পড়ে রয়েছে একটি বনবিড়াল। দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর চটের বস্তা ফেলে বনবিড়ালটিকে উদ্ধার করা হয়। কুয়ো থেকে বেরোতেই ছুটে ফের জঙ্গলে ফিরে যায় সেটি।
স্থানীয় বাসিন্দা বলরাম ঘোষ বলেন, ‘‘আমরা রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলাম হঠাৎ বাড়ির মালিক মিঠুনদা আমাদেরকে ডাক দিয়ে বললেন, কুয়োর মধ্যে কিছু একটা পড়ে রয়েছে চিতা বাঘের মতো দেখতে। সঙ্গে সঙ্গে ছুটে যাই আমরা। খবর দিই দমকল। সকলে মিলে সেটিকে উদ্ধার করা হয়।’’
ধূপগুড়ি পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান রাজেশ কুমার সিং বলেন, ‘‘রাত ১২ টা নাগাদ কাউন্সিলর গৌতম বাসাক এবং এলাকার কিছু বাসিন্দা ফোন করে জানান, কুয়োর মধ্যে চিতাবাঘ আটকে রয়েছে। শুনেই চিন্তায় পড়ে যাই আমরা। শহরের মধ্যে কী করে চিতাবাঘ এল মাথায় আসছিল না। সঙ্গে সঙ্গে বিন্নাগুড়ি বন্যপ্রাণী বিভাগ এবং দমকল কর্মীদের খবর দিই। তবে উদ্ধারের পর দেখা যায় সেটি চিতাবাঘ নয়, বনবিড়াল। তাতেই হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন সকলে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy