Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪

পুর-দ্বৈরথে শেষ হাসি অর্পিতারই

জেলা তৃণমূল সভাপতি অর্পিতার কথায়, ‘‘যিনি বলেছিলেন জেলা থেকে তৃণমূল দলকে তুলে দেবেন, কয়েকদিনের মধ্যে জেলা থেকেই তিনি চলে যাবেন। আমাদের সঙ্গে কাউন্সিলর রয়েছেন। জেলা পরিষদের সদস্যরা রয়েছেন। ওঁদের সঙ্গে কিন্তু কেউ নেই।’’

 জয়: ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছন্দা বসাক বিশ্বাসের সঙ্গে অর্পিতা ঘোষ। ছবি: অমিত মোহান্ত

জয়: ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছন্দা বসাক বিশ্বাসের সঙ্গে অর্পিতা ঘোষ। ছবি: অমিত মোহান্ত

নীহার বিশ্বাস 
গঙ্গারামপুর শেষ আপডেট: ০৬ অগস্ট ২০১৯ ০৪:০৬
Share: Save:

পুরসভা নিয়ে বিপ্লব মিত্রের সঙ্গে দেড়মাসের দ্বৈরথে শেষ হাসি হাসলেন অর্পিতা ঘোষই। প্রাক্তন তৃণমূল তথা সদ্য বিজেপি নেতা বিপ্লবের ভাই প্রশান্ত মিত্রকে সোমবার গঙ্গারামপুরের পুরপ্রধানের পদ থেকে সরিয়ে দিলেন অর্পিতা। তাঁর দাবি, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যও তাঁর সঙ্গেই রয়েছেন। আপাতত কিছু আইনি জটিলতার কারণে এই জেলা পরিষদ দখল করা যাচ্ছে না।

জেলা তৃণমূল সভাপতি অর্পিতার কথায়, ‘‘যিনি বলেছিলেন জেলা থেকে তৃণমূল দলকে তুলে দেবেন, কয়েকদিনের মধ্যে জেলা থেকেই তিনি চলে যাবেন। আমাদের সঙ্গে কাউন্সিলর রয়েছেন। জেলা পরিষদের সদস্যরা রয়েছেন। ওঁদের সঙ্গে কিন্তু কেউ নেই।’’ এদিকে, যিনি আস্থা ভোট ডেকেছিলেন সেই ভাইস চেয়ারম্যান তুলসীপ্রসাদ চৌধুরী ও যার বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা হয়েছে সেই পুরপ্রধান প্রশান্ত মিত্র, কেউই এ দিন পুরসভায় আসেননি। পুরসভার ১৮ জন কাউন্সিলরের মধ্যে আস্থাভোটে ছিলেন তৃণমূলের পক্ষের ১১ জন কাউন্সিলর। কাজেই সংখ্যাগরিষ্ঠতার নিরিখে সহজেই প্রশান্তের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব পাশ হয়ে যায়। কিন্তু পুরসভার বাকি পাঁচজন কাউন্সিলর কেন ছিলেন না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তৃণমূল শিবিরের অভিযোগ, প্রশান্ত ওই কাউন্সিলরদের গোপন আস্তানায় রেখেছেন। যদিও এই অভিযোগ স্বীকার করেননি প্রশান্ত। প্রশান্তের দাবি, কাউন্সিলররা নিজেদের বাড়িতেই রয়েছেন। ডিভিশন বেঞ্চে আস্থাভোটের শুনানি থাকায় এবং ভাইস চেয়ারম্যান আস্থাভোট স্থগিত করে দেওয়ায় তাঁরা পুরসভায় যাননি।

এ দিন সকাল থেকেই গঙ্গারামপুর বাসস্ট্যান্ডে ঘাঁটি গেড়ে পড়েছিলেন অর্পিতা। সঙ্গী ছিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী বাচ্চু হাঁসদা, তৃণমূল নেতা সোনা পাল এবং জেলার বিভিন্ন প্রান্তের কয়েক হাজার কর্মী। সকাল ১১টা নাগাদ ডিভিশন বেঞ্চ মামলা খারিজ করার সঙ্গে সঙ্গেই পুরসভায় অনাস্থা প্রস্তাব পাশ করিয়ে বাজি ফাটিয়ে কাউন্সিলরদের নিয়ে শহরে বিশাল মিছিল করেন অর্পিতা। সেই মিছিল থেকে কয়েকশো মিটার দূরে ‘মিত্র বাড়ি’র পরিবেশ ছিল থমথমে। সূত্রের খবর, জেলা পরিষদ ও গঙ্গারামপুর পুরসভা— দু’টিই বিজেপির হাতে তুলে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলের একদা দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা বিপ্লব। কিন্তু বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরে একে একে জেলা পরিষদের সদস্যরা যেমন বিপ্লব শিবির ছেড়ে তৃণমূলে গিয়েছেন, তেমনি গঙ্গারামপুর পুরসভারও এ দিন হাতছাড়া হল বিপ্লবের।

অন্য বিষয়গুলি:

Arpita Ghosh Gangarampur
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy