বিপ্লব মিত্র ও অর্পিতা ঘোষ। —ফাইল চিত্র।
বিপ্লব মিত্রের খাস তালুক গঙ্গারামপুরে সভা করে কার্যত তাঁকেই চ্যালেঞ্জ জানালেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি অর্পিতা ঘোষ। বুধবার গঙ্গারামপুর হাইরোড এলাকায় বিরাট সভা করে বিপ্লবের উদ্দেশে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে অর্পিতা বলেন, ‘‘জেলা পরিষদ, পুরসভা তৃণমূলের আছে, তৃণমূলের থাকবে। কেউ দখল করতে পারবে না।’’ পাশাপাশি এ দিন বিজেপি থেকে প্রচুর কর্মী তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বলেও অর্পিতা দাবি করেন।
অর্পিতার বক্তব্য, ‘‘যাঁরা তৃণমূল থেকে বিজেপিতে গিয়ে বলছেন জেলা থেকে তৃণমূল দলটাই তুলে দেবেন, তাঁদের উদ্দেশে বলি, তাঁরা আবার বিজেপি দলটাকেই জেলা থেকে উঠিয়ে না দেন। জেলা পরিষদ, গঙ্গারামপুর পুরসভা, বুনিয়াদপুর পুরসভা, বিভিন্ন পঞ্চায়েত আমাদের ছিল, ভবিষ্যতেও আমাদের থাকবে। আর যারা বলেছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দিয়ে ভোট হয় না তাদের বলব এ বার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি ছাড়া জিতে দেখাক।’’ শুধু মমতার ছবি দিয়ে ভোট হয় না বলে সম্প্রতি দিল্লিতে মন্তব্য করেছিলেন বিপ্লব।
এ দিন অর্পিতার সভায় ছিলেন মন্ত্রী বাঁচ্চু হাঁসদা, প্রাক্তন মন্ত্রী শঙ্কর চক্রবর্তী, জেলার দুই তৃণমূল বিধায়ক, সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া সোনা পাল। সভা করা হয়েছে বিপ্লবের বাড়ি থেকে কার্যত ঢিল ছোড়া দূরত্বে।
বিপ্লব জেলা পরিষদের ১৮ জন সদস্যের মধ্যে ৯ জনকে নিয়ে দিল্লিতে গিয়ে বিজেপি যোগ দেবার পরে দিল্লি থেকেই সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, জেলা পরিষদ দখলের পাশাপাশি দুই পুরসভা এবং ৪৮ টি অঞ্চলের সঙ্গে আটটি পঞ্চায়েত সমিতিও তাঁর হাত ধরে বিজেপিতে সামিল হবে। জেলা থেকে খুব দ্রুত তৃণমূল দলটাই তিনি তুলে দেবেন বলেও দাবি করেছিলেন। যদিও বিজেপিতে যাবার পরে এখনও তিনি জেলায় ফেরেননি। উপরন্তু তৃণমূল বিপ্লবের ভাই প্রশান্ত মিত্রকে দল থেকে বহিষ্কার করে দিয়ে গঙ্গারামপুর পুরসভার চেয়াম্যানের পদ থেকে সরিয়ে দিতে অনাস্থাও এনেছে। পাশাপাশি, বুনিয়াদপুর পুরসভার কাউন্সিলার থেকে তৃণমূলের দখলে থাকা সমস্ত অঞ্চল ও পঞ্চায়েত সমিতিকেও ধরে রেখেছেন অর্পিতা।
বিপ্লব বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় যে সব বিজেপি কর্মী ক্ষোভ প্রকাশ করছিলেন, তাঁদের তৃণমূলে সামিল করে অর্পিতা মাস্টারস্ট্রোক দিয়েছেন বলেই দাবি তৃণমূল মহলে। তৃণমূলের দাবি, এদিন গঙ্গারামপুরের বিভিন্ন এলাকার শতাধিক বিজেপি কর্মী তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। সূত্রের খবর, যে গঙ্গারামপুরের কার্যত সর্বাধিনায়ক ছিলেন বিপ্লব, এদিন তার বিরুদ্ধে বিশাল জমায়েত করে সেই মিথ ভাঙলেন অর্পিতা। এনিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে একাধিকবার বিপ্লবকে ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। বিজেপির জেলা সভাপতি শুভেন্দু সরকারের বক্তব্য, ‘‘অর্পিতাকে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছেন। এ কথা সবাই বুঝে গিয়েছেন। এখন তিনি তাই যা মনে আসছে বলছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy