—ফাইল চিত্র।
একে অপরের খাসতালুক থেকে জনপ্রতিনিধিদের তুলে নিয়ে গিয়ে গোপন আশ্রয়ে রাখছেন। জেলা তৃণমূল সভানেত্রী অর্পিতা ঘোষ এবং সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া বিপ্লব মিত্রকে নিয়ে এমনই জল্পনায় সরগরম বালুরঘাট-সহ গোটা দক্ষিণ দিনাজপুর।
শনিবার জেলায় ফিরেছেন বিপ্লব। তৃণমূল তার আগেই বিপ্লবের এলাকা থেকে গঙ্গারামপুর পুরসভার দলীয় কাউন্সিলরদের কয়েকজনকে তুলে গোপন আস্তানায় রেখেছে বলে খবর। পুরসভা ও জেলা পরিষদ দখলে রাখতে অর্পিতার এই কৌশল বলে দলীয় সূত্রের খবর। বসে নেই বিপ্লবও। তিনিও পাল্টা অর্পিতার খাসতালুক বালুরঘাট থেকে সংখ্যাগরিষ্ঠ জেলা পরিষদ সদস্যদের ঠিকানা বদলে দিয়েছেন। তাঁদের গোপন আশ্রয়ে রেখে বিপ্লব নিজের মতো করে ছক কষছেন বলে খবর। এর ফলে জেলা জুড়ে নাগরিক এবং গ্রামীণ উন্নয়ন ও পরিষেবার কাজ বিপর্যস্ত হয়ে জোগাড় হয়েছে। জেলা পরিষদের দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত জেলাশাসক কাজলকান্তি সাহা ইতিমধ্যে ওই আশাঙ্কার কথা জেলাশাসককে জানিয়েছেন।
তৃণমূল পরিচালিত জেলা পরিষদের সভাধিপতি সমেত সংখ্যাগরিষ্ঠ ১০ জন সদস্য বিপ্লবের সঙ্গে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। ফলে জেলা পরিষদ বিজেপির দখলে চলে গিয়েছে বলে বিপ্লব-ঘনিষ্ঠ সূত্রের দাবি। বিজেপির জেলা সভাপতি শুভেন্দু সরকার বলেন, ‘‘জেলা পরিষদ আমাদের দখলে চলে এসেছে। কিন্তু বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় ইতিমধ্যে বালুরঘাটের জেলা পরিষদ সদস্য শিপ্রা নিয়োগী, বিশ্বনাথ পাহান এবং হিলির গৌরী মালির বাড়িতে একাধিকবার হামলা ও ভাঙচুর হয়েছে। হরিরামপুরের সদস্য পঞ্চানন বর্মণকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। দলের সদস্যদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা আমরা করেছি।’’
তৃণমূল শিবির অবশ্য হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। অর্পিতার দাবি, ‘‘টোপ দিয়ে ভুল বুঝিয়ে যাঁদের বিজেপিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, তাঁদের বেশিদিন ওরা আটকে রাখতে পারবে না। ওই সদস্যরা তৃণমূলেই ফিরবেন।’’ বিপ্লব বলেন, ‘‘মাত্র তিনমাস পর গঙ্গারামপুর পুরসভার বোর্ডের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। এই অবস্থায় শাসক দল কাউন্সিলরদের লুকিয়ে রাখছে কেন? ভোটের
ময়দানে আসুন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy