ফাইল চিত্র।
বিমল গুরুং, রোশন গিরিরা পাহাড়ে এসে শান্তিতে বসবাস করতে পারেন— জানিয়ে দিলেন জিটিএ চেয়রাম্যান অনীত থাপা। পাহাড়ের রাশ নিজেদের হাতে রাখার ইঙ্গিত দিয়ে বৃহস্পতিবার অনীত বললেন, ‘‘বোমা-গুলির রাজ আর পাহাড়ে চলবে না। তিন বছর পাহাড়ে শান্তি রয়েছে। সেই শান্তি বজায় রাখতে হবে। সবাইকে সেই দায়িত্ব নিয়েই কাজ করার কথা ভাবতে হবে।’’
তাঁর কটাক্ষ, ‘‘২০১৭ সালে আন্দোলন তো বটেই, মানুষকে ছেড়ে পালিয়েছিলেন গুরুং। তার আগে সরকারি সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে, কত মানুষ মরেছে, পাহাড় সব দিক থেকে পিছিয়ে গিয়েছে। এখন সে সব ভুল ছিল বলে বিমল ফিরতে চাইছেন। এই ধরনের চেয়ার-কেন্দ্রীক নেতার কী ভবিষ্যৎ হবে, তা পাহাড়বাসী ভাববে।’’ অনীতের কথায়, ‘‘তিন বছর আগে গুরুং এই ভুলটা বুঝলে ভাল করতেন। কে আসবে আর কে না, তা নিয়ে ভাবছি না।’’
বুধবার বিকেলে তিন বছর পর নাটকীয় প্রত্যাবর্তন হয়েছে বিমল গুরুং, রোশন গিরির। বিজেপি’র সঙ্গে ত্যাগ করে তৃণমূলের সঙ্গে থাকার কথা ঘোষণা করেন গুরুং। কিন্তু পাহাড়ে ফেরা নিয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলেননি। তবে বিনয় তামাং, অনীত থাপার সঙ্গে তাঁর দূরত্ব কমবে কি না, সেটাই প্রশ্ন। অনীতেরা প্রকাশ্যে বিরোধিতা না করলেও বুধবার গোর্খা ভবনে বিমল, রোশনকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। জিটিএ-র অধীনেই কলকাতার এই ভবনটি রয়েছে। আবার বিনয়-অনীত যে একসঙ্গে রয়েছেন, তাও বুঝিয়ে দিয়েছেন দু’জন। অনীত বলেছেন, ‘‘বিনয় তামাং-র দূরদর্শিতা ছিল। আমিও ছ’মাস জেলে খেটে বাইরে এসে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। পাহাড়ে যা হচ্ছিল, সব ভুল। আমাদের নানা কথা বলা হয়েছিল। আজ দেখা যাচ্ছে, সেগুলিই ঠিক। বিমল গুরুং-র মুখেও সেই কথা এখন। পাহাড়ের মানুষকে সঠিক নেতা বাছতে হবে।’’ কটাক্ষের সুরে তিনি বলেন, ‘‘আমরা গোর্খাল্যান্ড বেচে রাজনীতি করি না। ওটা অনেক বড় বিষয়। আমরা রাজ্য সরকারের সঙ্গে শান্তিতে, উন্নয়নে যজ্ঞে থাকায় বিশ্বাসী।’’
দু’পক্ষের মধ্যে কী ভাবে মেলবন্ধন করা সম্ভব, সেটাই এখন তৃণমূলের প্রধান কাজ। জিটিএ অনীতের হাতে ছেড়ে রাখলেও মোর্চা নেতৃত্ব বিনয় আর বিমলের মধ্যে ভাগ করা আদৌ সম্ভব কিনা, তা বড় প্রশ্ন। অনীত মুখ খুললেও বিনয় কিন্তু এখনও চুপ।
ঐএ দিকে শিলিগুড়ির বিধায়ক অশোক ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘‘বিমল বলছেন, মুখ্যমন্ত্রী যা বলেন কথা রাখেন। অর্থাৎ বিজেপি গোর্খাল্যান্ড দেওয়ার কথা রাখেনি, তৃণমূল সেটা রাখবে। তাই যে রফা হয়েছে, তা প্রকাশ্যে আসুক। বিধানসভায় অধিবেশন হোক।’’ গুরুংকে কেন রাষ্ট্রদ্রোহের দায়ে গ্রেফতার করা হবে না, সেই প্রশ্নও তুলেছে সিপিএম। তৃণমূলের অবশ্য পাল্টা জবাব, ‘‘অশোকবাবুদের পাহাড় নিয়ে মাথা ঘামাতে হবে না। ওঁরা তো চিরকাল ঘোলা জলে মাছ ধরার চেষ্টা করে থাকেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy