বিজেপির বুথ সভাপতির স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে আদিবাসীদের বিক্ষোভে তুমুল উত্তেজনা ছড়াল। শুক্রবার রাতে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট থানার বোয়ালদার পঞ্চায়েত এলাকায়। ধর্ষণে অভিযুক্ত যুবক তৃণমূল কর্মী বলে নির্যাতিতার পরিবারের দাবি। শনিবার অভিযুক্তের শাস্তির দাবিতে শতাধিক আদিবাসী পুরুষ ও মহিলা তির, ধনুক, লাঠি, হাঁসুয়া নিয়ে মিছিল করে বালুরঘাট শহরে এসে থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান।

বোয়ালদার পঞ্চায়েতের নারায়ণপুরের বাসিন্দা ওই মহিলার স্বামী এলাকার বিজেপি বুথ সভাপতি। এ দিন থানায় লিখিত অভিযোগ করে ওই মহিলা জানান, কাজের সূত্রে রাতে স্বামী বাইরে ছিলেন। বাড়িতে তিনি একাই শুয়ে ছিলেন। সে সময় প্রতিবেশী যুবক দরজা ভেঙে ঢুকে তাঁকে ধর্ষণ করে। চিৎকারে পাশের বাড়ির লোকজন ছুটে এলে অভিযুক্ত যুবক পালিয়ে যায়।

অভিযুক্ত এলাকার তৃণমূলের কর্মী বলে জানান নির্যাতিতার স্বামী। অভিযুক্তের শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছে বিজেপি। দলের বালুরঘাট কেন্দ্রের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে না পারলে বড় আন্দোলন হবে।

এ দিন দুপুরে বোয়ালদার থেকে নির্যাতিতা মহিলাকে নিয়ে শতাধিক আদিবাসী আমের ডাল ঘুরিয়ে, তির ধনুক উঁচিয়ে বালুরঘাট থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। বোয়ালদারের বিজেপি অঞ্চল সম্পাদক ফেলু রায়ের দাবি, এলাকার বিজেপি বুথ সভাপতির অনুপস্থিতির সুযোগে ওই তৃণমূল কর্মী তাঁর স্ত্রীকে ধর্ষণ করে। তিনি দোষী যুবকের দৃ্ষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। যদিও তৃণমূলের জেলা কোঅর্ডিনেটর সুভাষ চাকি বলেন, ‘‘এই মুহূর্তে সকলেই তৃণমূল কর্মী ও সমর্থক। ওই ব্যক্তি তৃণমূল কর্মী কিনা জানি না। তবে বিষয়টি পুলিশ তদন্ত করে দেখবে। দোষী সাব্যস্ত হলে আইন আইনের পথে চলবে।’’

এ দিন পুলিশ নির্যাতিতা ওই মহিলাকে বালুরঘাট হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে মেডিক্যাল পরীক্ষা করানোর পাশাপাশি অভিযুক্তকে দ্রুত গ্রেফতার করা হবে বলে বিক্ষোভকারীদের আশ্বাস দিলে প্রায় দু’ঘণ্টা পরে উত্তেজনা কমে। ডিএসপি (সদর) ধীমান মিত্র জানান, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু হয়েছে। তাকে ধরতে তল্লাশি চলছে।