শিক্ষিকা এবং রাঁধুনিকে আটকে রেখে বিক্ষোভ অভিভাবকদের। —নিজস্ব চিত্র।
অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে চাল চুরির অভিযোগ তুলে শিক্ষিকা এবং রাঁধুনিকে ঘরের মধ্যে আটকে রাখলেন গ্রামবাসীরা। মঙ্গলবার মালদহের চাঁচল ১ নং ব্লকের বাকিপুর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে ঘটনাটি ঘটেছে। যদিও চাল চুরি করার অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন ওই শিক্ষিকা।
বাকিপুর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে মোট ১৫০ জন শিশু রয়েছে। তাদের দেখভালের জন্য রয়েছেন এক জন শিক্ষিকা এবং এক জন রাঁধুনি। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, মঙ্গলবার ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে চাল চুরি করার সময় ওই শিক্ষিকা এবং রাঁধুনিকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন অভিভাবকেরা। তারপরে তাঁদের দু’ঘণ্টা তালাবন্দি করে রাখা হয়। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের বাইরে বিক্ষোভও দেখান অভিভাবকেরা।
এই প্রসঙ্গে রফিকুল আলম নামে এক অভিভাবক বলেন, ‘‘এই কেন্দ্রে মাঝে মধ্যেই এই ধরনের ঘটনা ঘটে। বার বার অভিযোগ ওঠে। দীর্ঘদিন ধরে এই কেন্দ্রের নিয়ম মেনে খাবার দেওয়া হয় না। চাল এবং সব্জি চুরি হয়ে যায়। বিষয়টি জানানো হলেও কোন ব্যবস্থা হয় না। আমরা চাই এর সঠিক সুরুহা হোক।’’
অন্য দিকে, যাঁর বিরুদ্ধে ওই অভিযোগ উঠেছে, সেই শিক্ষিকা সেতারা বিবির কথায়, ‘‘আমার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। আমাকে এবং রাঁধুনিকে বিনা কারণে একটি ঘরে তালা দিয়ে আটকে রাখা হয়। বিষয়টি জানানোর জন্য সিডিপিওকে ফোন করা হলেও উনি ফোন ধরেননি।’’
প্রসঙ্গত, দীর্ঘ দিন ধরে বাকিবুর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র নিয়ে সমস্যা রয়েছে। বহুবার ওই কেন্দ্রে খারাপ খাবার দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন গ্রামবাসীরা। গ্রামের বাসিন্দাদের দাবি, বার বার এই নিয়ে অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষ এই বিষয়টি নিয়ে কর্ণপাত করেননি।
তবে এই প্রথম নয়। এক সপ্তাহ আগেই চাঁচলের চন্দ্রপাড়া পঞ্চায়েতের বাহারাবাদ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে রান্না হওয়া খিচুড়িতে পোকা কিলবিল করছে বলে অভিযোগ ওঠে। খিচুড়ি শিশুদের পাতে পড়তেই হুলস্থুলকাণ্ড ঘটে যায়। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সামনে বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকেরা। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসে চাঁচল থানার পুলিশ। শেষমেশ পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে খারাপ খাবার দেওয়া নিয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রশাসনে অভিযোগ জানানো হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy