অনন্ত রায় (মহারাজ)। — ফাইল চিত্র।
সঙ্গে একমত নন আর এক গ্রেটার নেতা বংশীবদন বর্মণ। মহারাজ দাবি করেছিলেন, কোচবিহার ‘কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল’ হতে চলেছে। বংশীবদনের দাবি, তাঁদের এমন কোনও তথ্য জানা নেই। আর যদি প্রকৃতই তা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হয়, তা হলে কেন্দ্র তা স্পষ্ট করছে না কেন?
বংশীবদন বলেন, “আমরা চাই, কোচবিহারের ভারতভুক্তি চুক্তির রূপায়ণ হোক। সে দাবিতেই আন্দোলন করছি। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল বা অন্য যা কিছু করার কথা বলা হচ্ছে, তা স্পষ্ট করুক কেন্দ্রীয় সরকার।” বার বার একই গল্প শুনিয়ে কেন সাধারণ মানুষকে ‘বোকা’ বানানোর চেষ্টা হচ্ছে, সে প্রশ্ন তুলছেন গ্রেটার কর্মীদের একাশও।
অনন্ত মহারাজের গ্রেটার সংগঠনের নেতা পরেশ বর্মণ বলেন, “এখানে বিতর্কের কোনও অবকাশ নেই। পুরোটাই সংবিধানের বিষয়। ভারত সরকার কোচবিহারের ভারতভুক্তি চুক্তি রূপায়ণের অঙ্গীকার করেছে। যেহেতু এখন ‘গ’ শ্রেণির রাজ্যের বিষয় সংবিধানে নেই, তাই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হবে। এর মধ্যে অন্য কোনও বিষয় নেই।”
কোচবিহারের ভারতভুক্তি চুক্তি রূপায়ণে দীর্ঘ সময় ধরে আন্দোলন করছে ‘গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশন’। এক সময় এক সঙ্গে আন্দোলন করলেও পরে একাধিক ভাগে বিভক্ত হয়ে যায় গ্রেটার। গ্রেটার সংগঠনের পক্ষে, ভারতভুক্তি চুক্তি অনুসারে কোচবিহারকে ‘গ’ শ্রেণির রাজ্য করার দাবি করা হয়। তা নিয়ে আন্দোলনও চলে। গত ২৮ অগস্ট কোচবিহারের ভারতভুক্তি দিবস পালন করেন গ্রেটার প্রধান অনন্ত মহারাজ। সেখানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক এবং কোচবিহারের বিজেপি বিধায়করা উপস্থিত ছিলেন। সে মঞ্চ থেকে মহারাজ দাবি করেন, কোচবিহার ‘কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল’ হতে চলেছে। কিন্তু তা নিয়ে কোনও কথা বলেননি নিশীথ ও বিজেপি বিধায়কেরা। নিশীথ বিষয়টিকে ‘দাবি’ বলে উল্লেখ করে তা যথাস্থানে জানানোর কথা বলেন। বিজেপি বিধায়ক মালতী রাভা জানান, ওই বিষয়ে তাঁদের কিছু জানা নেই। কিন্তু এমন হলে তাঁরা স্বাগত জানাবেন।
তার পর থেকেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, যদি সত্যিই কোচবিহারকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করা হয় তা হলে কেন্দ্রীয় সরকার তা স্পষ্ট করছে না কেন? মহারাজ আগে দাবি করেছিলেন, কোচবিহার রাজ্যের অংশ নিয়েই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হবে। বংশীবদন বলেন, “আমরা বার বার স্পষ্ট করেছি, চুক্তিতে যা রয়েছে সে অধিকার আমাদের দিতে হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy