Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

মেয়াদ শেষ, নষ্ট ক্যানসার ওষুধও

পড়ে আছে পেটি কে পেটি ওষুধ। কিছু ছাদে। কিছু মেডিসিন স্টোরের করিডরে। অভিযোগ, তার মধ্যে রয়েছে মেয়াদ উত্তীর্ণ অনেক ওষুধ। এমনকী, ক্যানসার চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয় যে ফসমিড-৫০০, তা-ও।

বাতিল: পড়ে থেকে নষ্ট ক্যানসারের ওষুধও। নিজস্ব চিত্র

বাতিল: পড়ে থেকে নষ্ট ক্যানসারের ওষুধও। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০১৭ ০২:২৯
Share: Save:

পড়ে আছে পেটি কে পেটি ওষুধ। কিছু ছাদে। কিছু মেডিসিন স্টোরের করিডরে। অভিযোগ, তার মধ্যে রয়েছে মেয়াদ উত্তীর্ণ অনেক ওষুধ। এমনকী, ক্যানসার চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয় যে ফসমিড-৫০০, তা-ও। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের এই ওষুধ কেলেঙ্কারিতে আঙুল উঠেছে মেডিসিন স্টোরের অব্যবস্থার দিকেই।

এই বিষয়টি নিয়ে এর আগেও প্রশ্ন তুলেছিলেন স্বাস্থ্য কর্তারা। বছর তিনেক আগে প্রচুর পরিমাণ মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ নষ্ট করার অভিযোগ পেয়ে তদন্ত করে স্বাস্থ্য দফতর। তখনই তাদের নজরে পড়ে, কত ওষুধ কোন বিভাগে পাঠানো হচ্ছে, কতটা ব্যবহার করা হচ্ছে— সে সব কোনও সুষ্ঠু হিসেব রাখা হয়নি। তৎকালীন স্টোর কিপারের অবসরকালীন সুবিধা আটকে দেওয়া হয়। ভুক্তভোগীরা বলছেন, তার পরেও যে কাজের কাজ কিছু হয়নি, সেটা এ বারের ঘটনায় প্রমাণ।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, শুধু জীবনদায়ী ফসমিড-৫০০ ইঞ্জেকশনই নয়, মেয়াদের মধ্যে ব্যবহার করা যায়নি বিভিন্ন ধরনের স্যালাইন, অয়েনমেন্ট। হাসপাতালের সুপার মৈত্রেয়ী কর বলেন, ‘‘ওষুধ মজুত করার জায়গার অভাব রয়েছে। তবু আমরা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। হাসপাতালের ভবনের সম্প্রসারণের কাজ হচ্ছে। স্টোরের জন্য আরও জায়গার ব্যবস্থা করছি।’’

মেয়াদ উত্তীর্ণ যে ওষুধ পড়ে রয়েছে, তা স্বাস্থ্য দফতরকে জানানো হয়েছে বলেও তাঁর দাবি। কিন্তু কয়েক লক্ষ টাকার ওষুধ এ ভাবে নষ্ট হল কেন, তা নিয়ে স্পষ্ট কোনও উত্তর দিতে পারেননি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তাদের দাবি, বিভিন্ন বিভাগ থেকে ওষুধের চাহিদা জানানোর পরেই সেই মতো স্বাস্থ্য দফতরে ‘অর্ডার’ দেওয়া হয়। অনেক সময় দেখা যায়, যা মজুত রাখা হল, তা কাজে লাগল না। চিকিৎসকদের একাংশের মতে, স্টোরের সঙ্গে বিভিন্ন বিভাগের সমন্বয় ঠিক মতো নেই বলেই সন্দেহ তাঁদের।

অন্য বিষয়গুলি:

Cancer's medicines expired
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE