বীরপাড়ায় অবৈধ ক্রাশার ভাঙার কাজ চলছে। নিজস্ব চিত্র
পাগলি নদী এলাকায় অবৈধ ভাবে গড়ে ওঠা ‘ক্রাশার’ বা পাথর ভাঙার কল ভেঙে দিল পুলিশ ও প্রশাসন। বুধবার দুপুরে ভূমি সুংস্কার দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে ওই ক্রাশারটি ভেঙে দেয় পুলিশ। ক্রাশারে থাকা বেশ কিছু যন্ত্রপাতি বাজেয়াপ্ত করেছেন ভূমি সংস্কার দফতরের আধিকারিকরা। বাকি যন্ত্রপাতি বৃহস্পতিবার বাজেয়াপ্ত করা হবে। এলাকায় বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেট।
খাদান থেকে অবৈধ ভাবে বালি-পাথর তোলার অভিযোগে কিছু দিন আগে বন দফতর ও ভূমি সংস্কার দফতরকে সঙ্গে নিয়ে বীরপাড়ায় পাগলি নদী এলাকায় একাধিক নির্মাণে হানা দেয় পুলিশ। সেই অভিযানেই বন দফতরের জমিতে থাকা ক্রাশার খুঁজে পায় পুলিশ। বেআইনি ভাবে মাদারিহাটের প্রাক্তন তৃণমূল ব্লক সভাপতি সঞ্জয় লামার ভাই কুন্দন লামা সেটি চালাচ্ছিলেন বলে অভিযোগ। পাশাপাশি, পাগলি নদীর গা ঘেঁষে তৈরি দু’টি নির্মাণ নিয়ে নোটিস জারি করা হয়। সেগুলি সঞ্জয়ের বলে অভিযোগ। সেখান থেকেই বেআইনি বালি-পাথরের কারবার নিয়ন্ত্রণ করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। যদিও প্রথম থেকেই সঞ্জয় সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। তবে অবৈধ ভাবে ক্রাশার চালানোর অভিযোগে কুন্দনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সঞ্জয়েরও খোঁজ চলছে।
আলিপুরদুয়ারের পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবংশী বলেন, “অবৈধ ভাবে ওই ক্রাশার চলছিল। আমাদের নজরে আসতেই সেখানে অভিযান চালানো হয়। ক্রাশার চালানোর অভিযোগে এক জনকে গ্রেফতারও করা হয়। ধৃত ব্যক্তি পুলিশ বা ভূমি সংস্কার দফতরকে ক্রাশার নিয়ে বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। তাই এ দিন ক্রাশারটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে।”
বিএলএলআরও (মাদারিহাট) খুসবু লামা বলেন, “ক্রাশারটি বেআইনি ভাবে চলছিল। সে জন্য এ দিন তা ভেঙে দেওয়া হয়েছে।” বিষয়টি নিয়ে সঞ্জয় লামার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও, ফোন বন্ধ থাকায় তাঁকে পাওয়া যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy