এ ভাবেই চলাচল করছে মাল বোঝাই গাড়ি। -নিজস্ব চিত্র।
বেপয়োরা গাড়ির ধাক্কায় ধূপগুড়িতে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। তারপরেও হুঁশ ফেরেনি প্রশাসনের। সূত্রের খবর, ধূপগুড়ি শহর থেকে ডুয়ার্সের— সর্বত্রই বেআইনিভাবে অতিরিক্ত মালবোঝাই গাড়ি চলাচল করছে। প্রতিদিনই বাড়ছে দুর্ঘটনা।
সূত্রের খবর, রবিবারও ধূপগুড়ি-সহ ডুয়ার্সের পৃথক ৩টি পথ দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৩ জন। সাধারণ মানুষের প্রশ্ন কত জনের প্রাণ গেলে তবে হুঁশ ফিরবে প্রশাসনের? সন্ধ্যার পর রাস্তায় বাড়ে অতিরিক্ত মালবোঝাই গাড়ির দাপট।
সরকারি নির্দেশিকা অনুসারে, গ্ৰামীণ এলাকা এবং পৌর এলাকায় অতিরিক্ত মালবোঝাই গাড়ি চলাচলে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সরকারি নির্দেশিকা উড়িয়েই সে সব এলাকায় বেড়েই চলেছে এদের দৌরাত্ম্য।
পরিস্থিতি এমন যে রাস্তায় চলতে ভয় পান বাইক আরোহী থেকে পথচলতি মানুষ। ধূপগুড়ির বাসিন্দা সুদীপ সেন বলেন, “রাস্তায় বাইক চালাতে, এমনকি হাঁটতেও ভয় লাগে। এমনভাবে দ্রুত গতিতে দাপিয়ে বেড়ায় যে প্রাণ হাতে নিয়ে চলতে হয়।’’
বাইক আরোহী সফিকুল ইসলাম বলেন, “ওভারলোডিং গাড়িগুলোর জন্য রাস্তার চলার সময় আতঙ্কে থাকতে হয়। বাচ্চাদের স্কুল, কলেজে পাঠিয়ে দুঃশ্চিন্তায় থাকতে হয়। ওভারলোডিং গাড়িগুলি চলা বন্ধ করতে প্রশাসনের আরও সক্রিয়তা দরকার।’’
ধূপগুড়ি পৌরসভা এলাকায় অতিরিক্ত মালবোঝাই গাড়িগুলি যাতে না চলে, সে বিষয়ে উদ্যোগী হবেন বলে জানান পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান রাজেশ সিংহ। তিনি বলেন, “বোর্ড মিটিংয়ে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। পুলিশকে আরও সক্রিয় হতে হবে। এ বিষয়ে পৌর এলাকার বাসিন্দাদের মাইকিং করে সচেতনও করা হবে।’’
তবে ধূপগুড়ির মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পরেও যেভাবে গাড়িগুলি চলছে, তাতে একটা জিনিস স্পষ্ট, সরকারি নির্দেশিকা মানতে নারাজ একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী। এখন দেখার প্রশাসন কতটা উদ্যোগী হয় এই বিষয়ে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy