প্রতীকী ছবি।
আদালতের নির্দেশের পরেও গোপনে বাজি বিক্রি চলছে বলে অভিযোগ। গৌড়বঙ্গের তিন জেলায় বাজি বন্ধ নিয়ে প্রচারও চলছে।
বালুরঘাট
শ্বাসকষ্টে ভোগেন শহরের প্রবীণ নাট্যব্যক্তিত্ব হারান মজুমদার। লকডাউনে বায়ুদূষণ কমে যাওয়ায় তাঁকে সে ভাবে তখন ‘ইনহেলার! নিতে হয়নি। কিন্তু কালীপুজো ও দীপাবলিতে বাজি পোড়ানোর জেরে শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ার আশভ্কায় রয়েছেন তিনি। শুধু হারানই নন, শহরের প্রবীণ নাগরিকেরা বৃহস্পতিবার বালুরঘাটে একটি পরিবেশপ্রেমী সংস্হা আয়োজিত ফেসবুকে ভার্চুয়াল সভায় যোগ দিয়ে বাজিমুক্ত দীপাবলি ও সবুজ পুজোর আবেদন জানান। বালুরঘাট শহরে লুকিয়ে বাজি বিক্রির বিরুদ্ধে বাজারে এখনও পুলিশি অভিযান চোখে পড়েনি বলে নালিশ উঠেছে। এ দিন ওই ভার্চুয়াল সভা থেকে বাজি বিক্রি এবং ডিজে বক্স বন্ধে প্রশাসনকে উদ্যোগী হতে আবেদন জানানো হয়।
মালদহ
মালদহে বাজি বিক্রি ও বাজি পোড়ানো বন্ধে মাইকে প্রচার শুরু করল প্রশাসন। ইংরেজবাজার শহর জুড়ে এ দিন তা করা হয়। সচেতনতার বার্তা প্রশাসনের তরফে সোস্যাল মিডিয়াতেও ছড়ানো হয়েছে। বাজি বিক্রি নিয়ে অভিযোগ জানাতে বিশেষ মোবাইল নম্বর চালু করেছে মালদহ জেলা পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, আদালতের নির্দেশের জেরেই বাজি বিক্রি নিয়ে অভিযোগ জানাতে মালদহ জেলার বিশেষ ফোন নম্বর চালু করা হল। পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, "এই নম্বরে বাজি বিক্রি সংক্রান্ত অভিযোগ জানালে দ্রুত পদক্ষেপ করা হবে।" পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নম্বরটি হল ৭৪৭৮১৬০১০০।
রায়গঞ্জ
হেমতাবাদ থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রচুর বাজি উদ্ধার করল পুলিশ। বুধবার রাতে হেমতাবাদ থানার বিভিন্ন এলাকার ২০টিরও বেশি দোকানে অভিযান চালান পুলিশকর্মীরা। পুলিশের দাবি, ওই অভিযানে হেমতাবাদ সদর এলাকার একটি মুদিখানা ও কাকরসিংহ ও বাঙালবাড়ি এলাকার দুটি স্টেশনারি দোকান থেকে কয়েকশো প্যাকেট চকোলেট বোমা, লঙ্কা বোমা, দোদমা, হাওয়াই বাজি সহ বিভিন্ন ধরণের আতশবাজি উদ্ধার হয়েছে। হেমতাবাদ থানার ওসি দিলীপ রায় বলেন, “অভিযুক্ত ওই তিন ব্যবসায়ী পালিয়ে গিয়েছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।" এদিকে রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার সুপার সুমিত কুমার বলেন, “বাজি রুখতে পুলিশের অভিযান জারি রয়েছে।” এদিকে, বৃহস্পতিবার রায়গঞ্জ পুরসভা, রায়গঞ্জ জেলা পুলিশ ও উত্তর দিনাজপুর জেলা প্রশাসনের তরফে রায়গঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় মাইকে ব্যবসায়ী ও বাসিন্দাদের আদালতের রায়ের কথা জানিয়ে তাঁদের বাজির কারবার ও ব্যবহার না করার ব্যাপারে সতর্ক করা হয়।
তথ্যসূত্র: জয়ন্ত সেন, অনুপরতন মোহান্ত ও গৌর আচার্য
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy