পুজো সামগ্রী বিক্রেতাদের ফেলে যাওয়া অবিক্রিত সামগ্রীর জঞ্জাল জাতীয় সড়ক জুড়ে। ইংরেজবাজারে। নিজস্ব চিত্র।
উত্তরাখণ্ড থেকে মালদহের দূরত্ব প্রায় দেড় হাজার কিলোমিটার। তার পরেও উত্তরাখণ্ডের বৃষ্টি নিয়ে কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে মালদহের সেচ দফতরের। কারণ, বিপদসীমার নীচে থাকলেও ফের জলস্তর বাড়তে শুরু করেছে গঙ্গার। আর জল বাড়তেই নতুন করে বন্যার পাশাপাশি ভাঙনের সম্ভাবনাও রয়েছে নদীপারে। জলস্তর বাড়তে শুরু করেছে ফুলহার, মহানন্দা নদীরও। বুধবার দিনভর দফায় দফায় ভারী বৃষ্টি হয়েছে মালদহেও। বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়ে ইংরেজবাজার ও পুরাতন মালদহ শহরের বেশ কিছু এলাকা।
পুজোর আগে ব্যাপক গঙ্গা এবং ফুলহার নদীতে ভাঙন শুরু হয়েছিল জেলায়। মানিকচক, বৈষ্ণবনগর এবং রতুয়ার বিস্তীর্ণ এলাকা নদীগর্ভে তলিয়ে যায়। বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল এলাকাগুলিতে। তবে মহানন্দা, ফুলহার বিপদ সীমা থেকে নীচে থাকায় কিছুটি হলেও স্বস্তি মিলেছিল নদীপারের বাসিন্দাদের। উত্তরাখণ্ডে ভারী বৃষ্টির জেরে জল বাড়তে শুরু করেছে জেলার নদীগুলিরও। সেচ দফতরের দাবি, এদিন গঙ্গা ২৩.৩৪, ফুলহার ২৫.০৯ এবং মহানন্দা ১৭.১৬ মিটার উচ্চতায় বয়ছে। তিন নদীরই জলস্তর বিপদ সীমা থেকে নীচে রয়েছে। তবে তিন নদীরই জল নতুন করে বাড়ছে, দাবি সেচ দফতরের কর্তাদের। তাঁদের দাবি, আগামী দু’দিন আরও জল বাড়বে নদীগুলির। ফলে জলস্তর বিপদসীমা ছুঁয়ে ফেলার সম্ভাবনাও রয়েছে। মালদহের অতিরিক্ত জেলাশাসক (বিপর্যয়) মৃদুল হালদার বলেন, “প্রশাসন পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত।”
এ দিন জেলায় ভারী বৃষ্টিও হয়। মোট বৃষ্টিপাত ৪০ মিলিমিটার। শহরের বিএস রোড, সর্বমঙ্গলাপল্লির মতো এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। লক্ষ্মী পুজোর দিন বাড়িতে জল ঢুকে যাওয়ায় বিপাকে পড়তে হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের। লক্ষ্মী পুজোর বাজারেও বৃষ্টির প্রভাব পড়ে। ফুল ব্যবসায়ী পরিমল সাহা বলেন, “পুজোর দিন সকালেই বেশি কেনাবেচা হয়। এ দিনের বৃষ্টি সবই
মাটি করে দিল।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy