মঞ্চে: অভিষেকের সঙ্গে নিজস্বী তুলছেন কর্মীরা। ছবি: অমিত মোহান্ত।
বেহাল জাতীয় সড়কের জেরে পথে বেগ পেতে হল তৃণমূলের যুব সভাপতি তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বৃহস্পতিবার সড়কপথে শিলিগুড়ি থেকে গঙ্গারামপুরে যাওয়ার পথে উত্তর দিনাজপুরের খানাখন্দে ভরা ৩১ ও ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে ভোগান্তি নিয়ে সভায় ক্ষোভ উগড়ে দিলেন তিনি। প্রকাশ্য সভায় কেন্দ্রকে বিঁধে বলেন, ‘‘আমি শিলিগুড়ি থেকে আসছিলাম। জাতীয় সড়কের কী অবস্থা! একটা রাস্তা করে না। আর টিভির পর্দায় গিয়ে বড় বড় কথা বলে। আপনাদের দ্বারা যদি না হয় তা হলে আমাদের দিয়ে দিন। আমরা মেরামত করে নেব। প্রশাসনিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, জাতীয় সড়কের জরাজীর্ণ দশা। রাজ্যকে লিখিত ভাবে জাতীয় সড়ক দিয়ে দিক মেরামত করে দেব। মানুষকে বঞ্চিত করে রাখব না।’’
প্রশাসন সূত্রের খবর, ইসলামপুর থেকে ডালখোলার পূর্ণিয়া মোড় পর্যন্ত ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক ও ডালখোলা থেকে রায়গঞ্জ পর্যন্ত ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক বেহাল। তাই অভিষেককে সড়কপথে যাওয়া নিয়ে প্রশাসনের তরফ থেকে সতর্ক করা হয়েছিল। পুলিশ প্রশাসনের পরামর্শ উপেক্ষা করে ওই বেহাল পথ দিয়েই গঙ্গারামপুরে পৌঁছন অভিষেক। নিজের চোখে রাস্তাটির অবস্থা দেখা যেমন তাঁর উদ্দেশ্য ছিল, তেমন জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের উপর চাপ সৃষ্টির তাগিদও ছিল।
এ দিন সড়ক পথে যাওয়া নিয়ে জেলা পুলিশ ও প্রশাসনের তৎপরতা ছিল জোরদার। গোটা রাস্তা জুড়ে পুলিশে মোতায়েন ছিল। অভিষেকের কনভয় নিরাপদে পার করে দেওয়ার জন্য সকাল থেকে জাতীয় সড়কের দূরপাল্লার লরিগুলো আটকে দেওয়া হয়। চিন্তা ছিল ডালখোলার যানজট নিয়েও। এ দিন অভিষেকের কনভয় যানজট থেকে নিস্তার পেলেও বেহাল সড়ক নিয়ে বিড়ম্বনায় জেলা প্রশাসন।
অবশ্য জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের দাবি, ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের সংস্কারের কাজ চলছে।
অন্য দিকে যুব নেতাকে সড়কপথে স্বাগত জানাতে বিভিন্ন এলাকায় দলীয় কর্মীরা হাজির ছিলেন। সড়কের দু পাশে অভিষেকের ছবি দিয়ে ফ্লেক্স সাজানো ছিল। অনেকেই ফুলের তোড়া দিয়ে সংবর্ধনা জানানোর হাজির থাকলেও নিরাশ হয়ে ফিরতে হল। ইসলামপুর বাস টার্মিনাসে হাজির ছিলেন জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরয়াল সহ অন্যরা। অভিষেককে দেখার জন্য উপচে পড়া ভিড় ছিল। গাড়িতেই তাঁকে সংবর্ধনা জানান কানাইয়ালাল। তিনি অনুরোধও করেন, ইসলামপুরে সভা করার। রায়গঞ্জ শিলিগুড়ি মোড়ে জেলা যুব সভাপতি গৌতম পাল-সহ অন্যরা কেউ চকলেট, কেউ গোলাপ হাতে নিয়ে ছিলেন। গৌতম বলেন, ‘‘দাদা না দাঁড়ালেও গাড়ির জানালা দিয়ে হাত নাড়িয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।’’
জেলা পুলিশের এক কর্তার দাবি, নিরাপত্তাজনিত কারণে অভিষেকের কনভয় দাঁড়ায়নি।
তথ্য সহায়তা: গৌর আচার্য ও অভিজিৎ পাল
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy