ছবি এএফপি।
উত্তরপ্রদেশ থেকে বিশেষ ট্রেনে ২২৬ জন পরিযায়ী শ্রমিকের উত্তর দিনাজপুরে ফেরার কথা ছিল। ফিরলেন ৪০ জন।
প্রশাসনিক সূত্রে খবর, উত্তরপ্রদেশের দানকর স্টেশন থেকে ছেড়ে শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেনটি মঙ্গলবার সকাল সওয়া ৯টা নাগাদ রায়গঞ্জ স্টেশনে এসে পৌঁছয়। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের চিকিৎসক ও নার্সরা স্টেশন চত্বরেই ট্রেনের যাত্রীদের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করে তাঁদের লালারস সংগ্রহ করেন। জেলা প্রশাসনের তরফে ওই ৪০ জন শ্রমিককে একাধিক বাসে বিভিন্ন এলাকার বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়। তাঁদের ১৪ দিন ‘হোম কোয়রান্টিনে’ থাকার পরামর্শও দেওয়া হয়।
জেলাবাসীর একাংশের অভিযোগ, এ দিন অনেক শ্রমিক মালদহ ও বারসই স্টেশনে নেমে গিয়েছেন। তাঁদের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হয়েছে কিনা, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। পাশাপাশি ওই ৪০ জন শ্রমিককে ‘হোম কোয়রান্টিনে’ পাঠানোয় সংক্রমণ ছড়ানোরও আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রবীন্দ্রনাথ প্রধানের বক্তব্য, ‘‘কোনও শ্রমিক অন্য স্টেশনে ট্রেন থেকে নেমে গিয়েছেন বলে অভিযোগ পাইনি।’’ তাঁর দাবি, ওই ৪০ জন শ্রমিক সুস্থ রয়েছেন। তাই তাঁদের ‘হোম কোয়রান্টিনে’ থাকতে বলা হয়েছে। অন্য দিকে, এ দিন রায়গঞ্জ ও হেমতাবাদ ব্লকের তিন ব্যক্তি করোনা-মুক্ত হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
ওই ট্রেনে রায়গঞ্জে ফেরা শ্রমিকদের একাংশের বক্তব্য, সরকারি কোয়রান্টিনে যাওয়ার ভয়ে এ দিন বহু শ্রমিক মালদহ ও বারসই স্টেশনের হল্টে নেমে গিয়েছেন।
বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, এ দিন যে সব শ্রমিক স্বাস্থ্যপরীক্ষা ছাড়াই ট্রেন থেকে নেমে গিয়েছেন, তাঁদের মাধ্যমে করোনা ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে। তাঁদের বক্তব্য, লালারস পরীক্ষার রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত ওই ৪০ জন শ্রমিককে সরকারি কোয়রান্টিনে রাখা উচিত ছিল। কারণ, পরে তাঁদের কারও রিপোর্ট ‘পজ়িটিভ’ হলে, তাঁদের থেকে পরিবারের লোক বা গোষ্ঠী সংক্রমণের আশঙ্কা থাকবে।
অন্য দিকে, এ দিনও ভিন্ রাজ্য থেকে অনেক শ্রমিক স্বাস্থ্যপরীক্ষা ছাড়াই হেঁটে ও বিভিন্ন যানবাহনে চেপে ইসলামপুরের বিভিন্ন এলাকার বাড়িতে ফিরছেন বলে অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে ইসলামপুরে করোনা সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা বাড়ছে।
ইসলামপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কার্তিকচন্দ্র মণ্ডলের দাবি, কোনও শ্রমিক পুলিশের নজর এড়িয়ে স্বাস্থ্যপরীক্ষা ছাড়া বাড়িতে ফিরলে, স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীরা তাঁদের বাড়ি থেকে নিয়ে এসে স্বাস্থ্যপরীক্ষা ও লালারস সংগ্রহ করছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy