Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Landslide at darjeeling

পাহাড়ে ধসে মৃত্যু, ফুঁসছে তিস্তা

দার্জিলিঙের জেলাশাসক এস পুন্নমবলম বলেন, ‘‘পাহাড় জুড়ে ছোট-বড় ধস নামে। কার্সিয়াঙে সেন্ট মেরিতে বড় ধস নেমেছিল।

দার্জিলিঙয়ের পাতলেবাস লাগোয়া পাট্টাবংয়ে উদ্বারকাজ।

দার্জিলিঙয়ের পাতলেবাস লাগোয়া পাট্টাবংয়ে উদ্বারকাজ। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৬ অগস্ট ২০২৩ ০৮:০৯
Share: Save:

দার্জিলিং শহর লাগোয়া পাট্টাবং এলাকায় ধসে চাপা পড়ে মারা গেলেন এক ব্যক্তি। শুক্রবার সকালে দার্জিলি‌ঙের বিজনবাড়ি ব্লকের রঙ্গিত-১ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ঘটনা। পুলিশ ও প্রশাসন সূত্রের খবর, মৃতের নাম বাবুলাল রাই (৫৯)। ধসে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে সিকিমেও।

বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া বৃষ্টি সারা রাতের পরে ভোরেও চলছিল। পাহাড়ের উপরের অংশ থেকে মাটি-পাথর নেমে আসছিল। বাড়ির রান্নাঘরে কাজ করছিলেন বাবুলাল। ধসে তাঁর বাড়ির ওই অংশ ভেঙে নীচে খাদে পড়ে যায়। মাটি-পাথর-কাদা এবং বাড়ির ভেঙে পড়া অংশের নীচে তিনি চাপা পড়েন। পুলিশ, দমকল এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় মৃতদেহ মেলে।

দার্জিলিঙের জেলাশাসক এস পুন্নমবলম বলেন, ‘‘পাহাড় জুড়ে ছোট-বড় ধস নামে। কার্সিয়াঙে সেন্ট মেরিতে বড় ধস নেমেছিল। পরে, ধস সরিয়ে রাস্তা খোলা হয়। কয়েকটি স্পর্শকাতর এলাকার বাসিন্দাদের করিয়ে সুরক্ষিতস্থানে রাখা হয়েছে। ত্রাণের বন্দোবস্তও করা হয়েছে।’’ তিনি জানান, পাহাড়ের বিভিন্ন এলাকায় নজরদারি রাখা হচ্ছে, ব্লক প্রশাসন সতর্ক রয়েছে, বিপর্যয় মোকাবিলা দল তৈরি রাখা হয়েছে।

এ দিন সকাল থেকে দার্জিলিঙের বিভিন্ন এলাকায় ধস নামে। ধস নামে ৫৫ নম্বর জাতীয় সড়ক, কার্শিয়াঙের সেন্ট মেরি, মানেভঞ্জনের খোপিডারা এলাকায়। সেন্ট মেরিতে রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। রিম্বিক, লোধামা থেকে মানেভঞ্জন যাওয়ার রাস্তাও বন্ধ হয়। তাকভর এলাকায় রাস্তা ধস নেমে বন্ধ হয়। এই এলাকায় বাড়ি গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সভাপতি বিমল গুরুংয়ের। তিনি তাকভর, পাট্টাবং এলাকায় ধস সরিয়ে রাস্তা সাফাই করার কাজে নামেন উদ্ধারকাজে নামা কর্মীদের সঙ্গে। তাঁর দাবি, মানুষের পাশে থেকে এমন কাজ তিনি করে থাকেন এবং আগেও করেছেন।

দার্জিলিঙের বৃষ্টি ও ধসের ঘটনার পাশাপাশি, কালিম্পং জেলায় তিস্তা নদী ফুঁসতে শুরু করেছে। বিশেষ করে, তিস্তাবাজার থেকে সিকিমের দিকে জাতীয় সড়়কের ধারে তিস্তা ফুলে-ফেঁপে উঠেছে। জল বাড়ায় নদীর দু’পাশের পাহাড়ি গ্রামের বাসিন্দারা আতঙ্কিত। বেশ কিছু নদী-লাগোয়া এলাকায় বাড়ির নীচের অংশে জল চলে এসেছে। বাসিন্দাদের অনেকেই সুরক্ষিত জায়গায় মহিলা ও শিশুদের পাঠিয়ে দিয়েছেন। কালিম্পং জেলা প্রশাসন এবং পুলিশের পক্ষ থেকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিস্তার পরিস্থিতি ও জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের এলাকায় নজরদারি চলছে।

এ রাজ্যের লাগোয়া সিকিমেও বিভিন্ন এলাকায় টানা বৃষ্টি ও ধসে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। সিকিম পুলিশ প্রশাসন সূত্রের খবর, জাতীয় সড়ক এখনও অবধি খোলা থাকলেও পরিস্থিতি ভাল নয়। গেজিং এলাকায় ধসের মাটিতে বাড়ি
চাপা পড়ে চার বছরের এক শিশুর মৃত্যু ঘটেছে।

অন্য বিষয়গুলি:

Teesta River Darjeeling
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy