অমাবস্যার রাতে কালীপুজোতে অঞ্জলি দেওয়া থেকে নিয়ম মেনে সব কাজই করেন সোলেমান মিয়াঁরা। গত ২৬ বছর ধরে আলিপুরদুয়ার জেলার শীলতোর্সা ঘাটের কাছে তোর্সা ইউনাইটেড ক্লাবের পুজো করে আসছেন এলাকার সংখ্যালঘু মানুষরাও। কালীপুজোয় চলা মেলা এখানে রূপ নেয় সম্প্রীতির উৎসবে।
এলাকার অধিকাংশ বাসিন্দা তোর্সা থেকে বালি পাথর তোলায় যুক্ত। এলাকায় প্রায় দেড় হাজার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ রয়েছেন। তরণি রায়, দেবেন বর্মন, জব্বর আলি, ভেনু মিয়াঁ, সামসুল মিয়াঁরা ১৯৯০ সালে চালু করেন এলাকাব কালী পুজো। পুজোর কয়েক দিন বাদে তোর্সা নদীর চরে বসত মেলা। আজও সেই ধারা রয়েছে। পুজো কমিটির অন্যতম সদস্য সোলেমান মিয়াঁ জানান, গত ন’বছর ধরে তিনি পুজো কমিটির সম্পাদক ছিলেন। এ বছর ব্যক্তিগত কাজের জন্য সম্পাদক পদ নেননি। তবে কমিটিতে থেকে পুরো বিষয়টি পরিচালনা করছেন। প্রথম থেকেই এলাকায় জাত ধর্ম নির্বিশেষে সমস্ত মানুষ কালীপুজোয় যোগ দেন। সেই ধারা আজও চলছে। আগামী প্রজন্মের কাছেও সোলেমান মিয়াঁরা সেই বার্তা দেন।
কমিটির অন্য সদস্যরা জানান, শীলতোর্সা ঘাট, শিমলাবাড়ি-সহ একাধিক এলাকার মানুষ সামিল হন পুজোতে। অমাবস্যার রাতে উপোস থেকে অঞ্জলি দেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বহু মানুষ। এ বছর প্রায় ৭ কুইন্টাল চাল ডালের খিচুড়ি হবে। পুজোর পরে ৭ নভেম্বর থেকে শুরু হবে মেলা। চলবে ১২ তারিখ পর্যন্ত। আলিপুরদুয়ার ১ ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মনোরঞ্জন দে জানান, এলাকায় সব ধর্মের মানুষ বসবাস করেন। কালীপুজো যেন সম্প্রীতির উৎসবের রূপ নেয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy