Advertisement
১৯ ডিসেম্বর ২০২৪
Suicide

Suicide: বিএসএনএল-এর অস্থায়ী কর্মীর ঝুলন্ত দেহ, মানসিক অবসাদে আত্মহত্যা বলে অভিযোগ

মৃত বীরেন্দ্রনাথ রায় (৪৫) বেতন না পেয়ে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন বলে তাঁর পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ।

বিএসএনএল-এর অস্থায়ী কর্মীর আত্মহত্যা।

বিএসএনএল-এর অস্থায়ী কর্মীর আত্মহত্যা। প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
জলপাইগুড়ি: শেষ আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০২১ ১৯:৫৪
Share: Save:

বিএসএনএল-এর অস্থায়ী কর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার জলপাইগুড়িতে। এই ঘটনা ঘটেছে জলপাইগুড়ি রাজগঞ্জের তোতাইগজ এলাকায়। মৃত বীরেন্দ্রনাথ রায় (৪৫) বেতন না পেয়ে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন বলে তাঁর পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ। তিনি জলপাইগুড়িতে বিএসএনএল-এর ফাটাপুকুর এক্সচেঞ্জে অস্থায়ী কর্মী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার সকালে বিএসএনএল-এর বিভাগীয় দফতর ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান তৃনমূল প্রভাবিত শ্রমিক সংগঠনের কর্মী এবং সমর্থকরা। মৃতের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানান তাঁরা।
বুধবার সকালে বীরেন্দ্রনাথের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় তাঁর ঘর থেকে। তাঁর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১০ বছর ধরে তিনি বিএসএনএল-এর অস্থায়ী কর্মী ছিলেন। অভিযোগ, গত ১০ মাস ধরে বেতন না পাওয়ায় বিপাকে প়ড়েছিলেন তিনি। তাঁর ভাই সুরেন্দ্র রায় বলছেন, ‘‘দাদার অনিয়মিত বেতনের কারণে সংসার চালাতে সমস্যা হচ্ছিল। তার জন্যই মানসিক অবসাদে ভেঙে পড়েছিলেন। দাদার মানসিক চাপ বুঝতে পেরে পাশে থাকার চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু ও এমন একটা ঘটনা ঘটিয়ে ফেলবে তা কল্পনাও করতে পারিনি।’’

বীরেন্দ্রনাথের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিএসএনএল-এর অস্থায়ী কর্মীরা। তাঁরা সংস্থাটির বিভাগীয় দফতর ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান। সংগঠনের সভাপতি স্বপন সরকার বলেন, ‘‘১০ মাসের বেশি বেতন পাচ্ছেন না অস্থায়ী কর্মীরা। বেতন না পেয়ে ছ’মাস আগে একই ভাবে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন পঙ্কজ রায় নামে এক অস্থায়ী কর্মী। পর পর একই ঘটনার জন্য বিএসএনএল কর্তৃপক্ষই দায়ী।’’ বিএসএনএল এর বিভাগীয় ইঞ্জিনিয়ার রজত সোম বলেন, ‘‘এই মৃত্যু অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। বিষয়টি ঊর্ধ্বতনন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।’’ ভবিষ্যতে যাতে এমন ঘটনা না ঘটে তার জন্য পদক্ষেপ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

অন্য বিষয়গুলি:

Suicide BSNL contractual workers
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy