শ্রীনিবাস মণ্ডল (ইনসেটে), নিহত মৎস্যজীবীর বাড়িতে কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র।
ফের সুন্দরবনে বাঘের হানায় প্রাণ হারালেন এক মৎস্যজীবী। মঙ্গলবার ভোর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গল লাগোয়া খাঁড়িতে। আক্রান্তের সঙ্গীরা মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করে জয়নগর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলেও তাঁকে বাচানো যায়নি। বিষয়টি মৈপিঠ উপকূল থানা এবং বন দফতরে জানানো হয়েছে। নিহত মৎস্যজীবী শ্রীনিবাস মণ্ডল (৫২) কুলতলির মৈপিঠ উপকূল থানার কিশোরী মোহনপুরের শ্রীকান্তপল্লির বাসিন্দা।
শ্রীনিবাসের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার দুই সঙ্গীকে নিয়ে নৌকায় চড়ে সুন্দরবনে মাছ এবং কাঁকড়া ধরতে গিয়েছিলেন শ্রীনিবাস। মঙ্গলবার দুপুরে খাওয়াদাওয়ার পর তিন জনই ঘুমিয়ে পড়েন। সকলের অজান্তে বাঘ হানা দেয় নৌকায়। শ্রীনিবাসকে তুলে নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে বাঘটি। সেই সময় শ্রীনিবাসের সঙ্গীরা বাঘের পিছু ধাওয়া করেন। লাঠি এবং নৌকার বৈঠা দিয়ে বাঘকে মারতে শুরু করেন তাঁরা। বেগতিক বুঝে শিকার ছেড়ে পালিয়ে যায় বাঘটি। রাতেই মৎস্যজীবীকে গ্রামে ফিরিয়ে আনেন সঙ্গীরা। আহত শ্রীনিবাসকে জয়নগর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের জেরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি। মৈপিঠ উপকূল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রীনিবাসের দেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। ওই মৎস্যজীবীদের কাছে জঙ্গলে মাছ এবং কাঁকড়া ধরার জন্য লিখিত অনুমতিপত্র ছিল কি না তা খতিয়ে দেখছে বন দফতর।
শ্রীনিবাসের মৃত্যুর খবর পেয়ে শ্রীকান্তপল্লিতে মৎস্যজীবীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে যান প্রাক্তন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়। মৃত মৎস্যজীবীর পরিবারকে অবিলম্বে সরকারি সাহায্য দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy