ফাইল চিত্র।
করোনা আবহে চিকিৎসা পরিষেবায় ঘাটতি মেটাতে আলিপুরদুয়ার জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ৪৬ জন চিকিৎসককে নিয়োগপত্র দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। কিন্তু জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, নির্দিষ্ট সাতদিনের সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও কাজে যোগ দিয়েছেন মাত্র চারজন চিকিৎসক। এতে স্বাভাবিক ভাবেই চিন্তিত আলিপুরদুয়ারের স্বাস্থ্যকর্তাদের একাংশ।
তবে জেলার স্বাস্থ্য কর্তারা জানিয়েছেন, পরিস্থিতির কথা চিন্তা করে বাকিদের কাজে যোগ দেওয়ার জন্য আরও সাতদিন সময় বরাদ্দ করেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।
জেলা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসক, নার্স-সমেত অন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের একটা ঘাটতি রয়েইছে। করোনা পরিস্থিতিতে সেই ঘাটতি আরও বড় আকার নিয়েছে। এক জেলা স্বাস্থ্য কর্তার কথায়, আলিপুরদুয়ারে একটি জেলা হাসপাতাল, একটি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল, একটি রাজ্য সাধারণ হাসপাতাল ছাড়াও ছ’টি গ্রামীণ হাসপাতাল ও ১৩টি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র চলছে। যেগুলিতে আরও দুশোরও বেশি চিকিৎসক প্রয়োজন। অন্তত ১৪০ জন নার্স প্রয়োজন।
করোনা পরিস্থিতি দেখতে জেলায় আসা রাজ্যের স্বাস্থ্যকর্তাদের কাছে এই ঘাটতির সমস্যাটি তুলে ধরেন জেলার আধিকারিকরা। জেলা দফতর সূত্রের খবর, তার পরেই জেলার বিভিন্ন হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রের জন্য ৪৬ জন চিকিৎসক নিয়োগপত্র দেয় স্বাস্থ্য দফতর। যার মধ্যে ২৫ জন মেডিক্যাল অফিসার ও বাকি ২১ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। ১১৬ জন নার্সকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে যাঁদের করোনার চিকিৎসায় কাজে লাগানোর কথাও বলা হয়।
কিন্তু জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, আলিপুরদুয়ারে এই ৪৬ জন চিকিৎসকের বুধবারের মধ্যে কাজে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নির্দিষ্ট ওই সময়ের মধ্যে মাত্র চারজন মেডিক্যাল অফিসার কাজে যোগ দেন। আলিপুরদুয়ারের সিএমওএইচ গিরীশচন্দ্র বেরা বলেন, “এখনও পর্যন্ত চারজন চিকিৎসক কাজে যোগ দিয়েছেন। পুজোর মরসুম জন্যই হয়তো অনেকে কাজে যোগ দিতে দেরি করছেন। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর আরও এক সপ্তাহ সময় বাড়িয়েছে। আমরা আশাবাদী, এই সময়ের মধ্যে বাকিরা কাজে যোগ দেবেন।”
জেলার স্বাস্থ্য কর্তাদের একাংশের কথায়, আসলে প্রত্যন্ত এলাকা হওয়ায় উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় অনেক চিকিৎসক কাজ করতে চান না। তাই বাড়তি সময়ে বাকিদের মধ্যে কতজন কাজে যোগ দেন তা নিয়েও ধন্দে তাঁদের কেউ।
তবে এরই মধ্যে স্বস্তির খবর, আলিপুরদুয়ারে নিয়োগপত্র পাওয়া ১১৬ জন নার্সের মধ্যে ৮২ জন ইতিমধ্যেই কাজে যোগ দিয়ে ফেলেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy