প্রতীকী ছবি।
গত কয়েক মাস থেকে জল্পনা চলছিল। শনিবার সেই জল্পনাকে সত্যি করে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তিন তৃণমূল নেতা শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন। সেই তালিকায় রয়েছেন গঙ্গারামপুরের প্রাক্তন বিধায়ক সত্যেন রায়, জেলা সম্পাদক অনিতা বিশ্বাস ও জেলার প্রাক্তন কার্যকরী সভাপতি দেবাশিস মজুমদার। এ দিন বিজেপিতে যোগ দিয়েই এই নেতাদের দাবি, কয়েক দিনের মধ্যেই জেলার আরও বেশ কয়েক জন নেতা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেবেন।
২০১১ সালে প্রথমবার নির্বাচনে দাঁড়িয়ে বিধায়ক হন দক্ষিণ দিনাজপুরের তফসিলি নেতা সত্যেন। তৃণমূলের দীর্ঘদিনের এই নেতা তফসিলি ও রাজবংশী সম্প্রদায়ের কার্যত শাসকদলের প্রতিনিধি ছিলেন। এমন কি, তিনি তৃণমূলের এসসি-এসটি মোর্চার জেলা সভাপতিও। কিন্তু গত বিধানসভা নির্বাচনে বাম-কংগ্রেস জোট প্রার্থী গৌতম দাসের কাছে হেরে যান। পরে গৌতম কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন এবং তাঁকেই জেলা তৃণমূলের সভাপতি করা হয়। যা নিয়ে ঘনিষ্ঠ মহলে সত্যেন আক্ষেপ করে বলেছিলেন, দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে যার কাছে আমাকে পরাজিত করা হল, আবার তাকেই দল জেলা সভাপতির পদ দিল। এ দিন সত্যেন বলেন, ‘‘আমি দলের দুর্দিনের সৈনিক ছিলাম।যারা দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল তাদেরই সম্মান দেওয়া হল। অথচ আমাকে কোনওদিনও সম্মান দেওয়া হয়নি। এই অপমান আর মেনে নেওয়া যায়নি বলেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছি।’’
দেবাশিস বলেন, ‘‘আমি দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূলের একাধিক পদে ছিলাম। কিন্তু এই দলে থেকে মানুষের জন্য কাজ করতে পারছিলাম না। তাই বিজেপিতে যোগ দিলাম।’’ তাদের দাবি, কিছুদিনের মধ্যে জেলাতে আসবেন শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ। তাঁদের হাত ধরে জেলা তৃণমূলের এক ঝাঁক নেতা বিজেপিতে যোগ দেবেন। এ দিকে, এই তিন নেতার দল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া নিয়ে তপনের বিধায়ক তথা মন্ত্রী বাচ্চু হাঁসদা বলেন, ‘‘সত্যেনদার অভিযোগের যথেষ্ট কারণ রয়েছে। সত্যেনদা অনেক পুরনো নেতা। দলে তার গ্রহণযোগ্যতা ছিল। কিন্তু সেইভাবে তাঁকে কোনও সম্মান দেওয়া হয়নি।’’ তবে বাচ্চু কিছুটা ইঙ্গিতপূর্ণভাবে বলেন, ‘‘আমি এখনও তৃণমূলেই আছি।’’
তৃণমূলের জেলা সভাপতি গৌতম দাস বলেন, ‘‘সত্যেন রায়কে দল টিকিট দিয়েছিল বলেই উনি বিধায়ক হয়েছিলেন। উনি ব্লক সভাপতি ও একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন। তাই গুরুত্ব না দেওয়ার অভিযোগ ঠিক নয়। আসলে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য এবং বিধানসভার টিকিট পেতেই উনি দল ছেড়েছেন। এতে তৃণমূলে কোনও প্রভাব পড়বে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy