মনোনয়ন জমা দিয়ে একজন বার হলেন, ঠিক সেই সময় একই কেন্দ্রের আরেকজন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিতে ঢুকলেন। বৃহস্পতিবার মালদহ জেলা প্রশাসনিক ভবনে এমনই ছবি দেখা গেল। প্রথমজন হলেন উত্তর মালদহ লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী সৌমিত্র রায়। দ্বিতীয়জন ওই কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী মৌসম বেনজির নূর। মনোনয়ন জমা দিয়ে ঘর থেকে বার হতেই তাঁকে পুলিশ অফিসারেরা সামনের একটি ঘরে ঢুকিয়ে দেন। এর পরই কংগ্রেস প্রার্থী মৌসম বেনজির নূর জেলা নির্বাচনী আধিকারিকের ঘরে মনোনয়ন জমা দিতে ঢোকেন। তার আগে রিটার্নিং অফিসার তথা জেলাশাসক পৌঁছানোর আগেই সকাল সাড়ে দশটা দলবল নিয়ে কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী আবু হাসেম খান চৌধুরী মনোনয়নপত্র জমা দিতে চলে যান। এ দিন আবু হাসেম খান চৌধুরী, মৌসম বেনজির নূর ও সৌমিত্র রায়ের মধ্যে এদিন একটাই মিল দেখা গিয়েছে। তিনজন প্রার্থীই তিনটি মসজিদে ফুল চড়িয়ে আগে পড়ে মনস্কামনা কালী মন্দিরে পুজো দিয়ে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। মনোনয়ন জমা দিয়ে আবু হাসেম খান চৌধুরী বলেন, “কংগ্রেস এবারও এই আসনে জিতবে। তবে পুলিশ সঠিকভাবে কাজ করছে না। তৃণমূল নেতাদের নির্দেশে পুলিশ দলের কর্মী নেতাদের মিথ্যা মামলা দিয়ে হেনস্থা করছে। নিবার্চন কমিশনের কাছে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাচ্ছি।” জীবনে প্রথমবার ভোটের মনোনয়ন জমা দিতে এসে এ দিন তৃণমূল কংগ্রেসের উত্তর মালদহের প্রার্থী সৌমিত্র রায়কে কিছুটা ‘নার্ভাস’ দেখতে লাগছিল। ঘুম থেকে উঠেই প্রিয় কুকুর দাসাকে নিয়ে কিছুক্ষণ খেলে খাবার খেয়ে তিনি বার থেকে বার হন। প্রথমে মনস্কামনা মন্দির, তারপর বক্ষাটুলির মসজিদ, তারপর কালীতলার বুড়ি কালীর মন্দির পুজো দিয়ে দলের দুই মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র ও কৃষ্ণেন্দু চৌধুরীকে সঙ্গে নিয়ে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন সৌমিত্র। তিনি বলেন, “আমার মনে হচ্ছে মাউন্ট এভারেষ্ট জয়ের চেয়ে এই নিবার্চনে লড়াটা যেন কঠিন মনে হচ্ছে। আমি মানুষের জন্য কাজ করতে চাই। আজকে মায়ের কথা খুব মনে পড়ছে।” এদিন মনোনয়ন জমা দিয়ে নিজের জয় ১০০ শতাংশ নিশ্চিত বলে দাবি করেছেন উত্তর লোকসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী মৌসম বেনজির নূর। তিনি বলেন, “মালদহের মানুষ জানে আমি কী কাজ করেছি। আগামী দিনেও আরও কাজ করব। এলাকার মানুষ আমার পাশে আছেন। আমি জিতবই।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy