পণের দাবিতে বধূকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টার অভিযোগ উঠল তাঁরই স্বামীর বিরুদ্ধে। স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির অন্যদের বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার রাতে শিলিগুড়ির সেবক রোডের বিদ্যাচক্র কলোনিতে। অগ্নিদগ্ধ বধূর নাম প্রিয়াঙ্কা দত্ত। তাঁকে গুরুতর জখম অবস্থায় উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বধূ নির্যাতন ও খুনের অভিযোগে শ্বশুর নাড়ু পালকে সোমবার রাতেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। স্বামী আয়ুষ সহ বাকিরা পলাতক। তাঁদের খোঁজা হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
শিলিগুড়ি পুলিশের ডিসি ওজি পাল বলেন, “একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।” অভিযুক্ত নাড়ুবাবুর বিরুদ্ধে এর আগেও একটি অভিযোগ ছিল শিলিগুড়ি থানায় বলে পুলিশ সূত্রের খবর। প্রিয়াঙ্কার বাপের বাড়ি বিদ্যাচক্র কলোনিতে। শ্বশুরবাড়ি হাকিমপাড়ায়। বাবা বাপি দত্তের অভিযোগ, দু লক্ষ টাকা চেয়ে না পাওয়াতেই মেয়েকে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছে জামাই। তিনি বলেন, “টাকা চেয়ে কয়েক মাস থেকে মারধর করত মেয়েকে। আমি কয়েক মাস সময় চেয়েছিলাম। কিন্তু তা আর দিল না ওরা।” ওই বধূর এক ভাই পঞ্চুবাবুও জানান, দিদির উপরে শ্বশুরবাড়ির সকলে মিলে অত্যাচার করত। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, “এক বছর আগে প্রেম করে বিয়ে হয় আয়ুষ ও প্রিয়াঙ্কার। আয়ুষ শিলিগুড়ির হায়দরপাড়ার ট্যাটু স্টুডিওতে ট্যাটু বানানোর কাজ করত। কয়েক মাস পরে অবশ্য তা ছেড়ে দেয়। তারপরেই বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য চাপ দিতে থাকে। বাপিবাবু জানান, সামান্য গ্যারেজে কাজ করে অত টাকা দেওয়া সম্ভব নয়। তাতে অত্যাচারের পরিমাণ বেড়ে যায়। ছেলেটি নেশাগ্রস্ত বলেও পুলিশ জানিয়েছে। পরে মেয়ের কথা ভেবে কয়েক মাস সময় চেয়ে নেন তিনি। প্রিয়াঙ্কা এবার বাপের বাড়িতে থেকে উচ্চ মাধ্যমিক দিয়েছে। কয়েকদিন আগেই পরীক্ষা শেষ হয়। বাপের বাড়িতেই ছিলেন তিনি। মদ্যপ অবস্থায় এসে তাঁকে মারধর করে তার গায়ে আয়ুষ আগুন লাগিয়ে দেয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy