বিশ্বকর্মা পুজোর দিন চেষ্টা করেও চালু করা যায়নি। তাই শারদোত্সবের সূচনায় পঞ্চমী থেকেই কোচবিহারের সাগরদিঘিতে নৌকাবিহারের ব্যবস্থা চালু করতে চলেছে কর্তৃপক্ষ। মত্স্য দফতরের মালিকানাধীন ওই দিঘিটি আগামী পাঁচ বছরের জন্য একটি বেসরকারি সংস্থাকে ‘লিজ’ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। ওই সংস্থার উদ্যোগেই নৌকাবিহার চালুর প্রয়োজনীয় বন্দোবস্ত করা হচ্ছে।
জেলা প্রশাসন ও ওই সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দিন সকালে রাজ্যের পূর্ত পরিষদীয় সচিব রবীন্দ্রনাথ ঘোষ আনুষ্ঠানিকভাবে সাগরদিঘিতে নৌকাবিহারের সূচনা করবেন। এ জন্য ইতিমধ্যে কলকাতা থেকে ছ’টি ‘প্যাডেল বোট’ আনা হয়েছে। এ ছাড়াও ‘রেসকিউ বোট’ হিসেবে রাখা হচ্ছে আরও একটি নৌকা। পাশাপাশি দিঘি চত্বরে বাঁশের কৃত্রিম ফেরিঘাট তৈরির কাজও অনেকটা এগিয়েছে। কোচবিহারের সদরের মহকুমা শাসক বিকাশ সাহা বলেন, “২৯ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে সাগরদিঘিতে নৌকাবিহার চালুর সিদ্ধান্ত পাকা হয়ে গিয়েছে। এতে শহরে আকর্ষণ আরও বাড়বে।” রাজ্যের পূর্ত দফতরের পরিষদীয় সচিব রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “কোচবিহারকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে নানা পদক্ষেপ করা হচ্ছে। সাগরদিঘিতে নৌকাবিহার চালু হলে পর্যটকদের সময় কাটানোর বিকল্প সুযোগ তৈরি হবে। তাতে ভাল সাড়া মিলবে বলেও আশা করছি।
প্রশাসন ও সংস্থা সূত্রেই জানা গিয়েছে, ‘প্যাডেল বোট’গুলির জন্য মাথাপিছু প্রতি আধঘণ্টায় ৫০ টাকা ভাড়া দিতে হবে। একটি বোটে সর্বাধিক চারজন একসঙ্গে উঠতে পারবেন। আগ্রহী পর্যটকেরা চাইলে প্রতিঘন্টা চুক্তিতেও বোট ভাড়া নিয়ে সাগরদিঘির এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত ঘুরে দেখার সুযোগ পাবেন। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে আরোহীদের প্রত্যেকের লাইফ জ্যাকেট পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এছাড়াও দুর্ঘটনা এড়াতে দক্ষ সাঁতারু ও রেসকিউ বোটও রাখা হচ্ছে। ওই সংস্থার কর্তা মুকুট রায়চৌধুরী বলেন, “পুজো উপহার হিসাবে ২৯ সেপ্টেম্বর সাগরদিঘিতে নৌকাবিহার চালু করতে আমরা মুখিয়ে আছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy